শেষ আপডেট: 22nd April 2024 12:57
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ২০১৬ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগের ক্ষেত্রে বড় কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছিল। তা হল, যাঁরা যোগ্য তাঁদের সুযোগ না দিয়ে প্যানেলের মেয়াদ বাড়িয়ে অতিরিক্ত শূন্য পদ তৈরি করে বেআইনি ভাবে ২৫ হাজার ৭৫৩জনকে নিয়োগ করা হয়। সোমবার তাঁদের সবার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ। শুধু তা নয়, চার সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের বেতনের টাকা ১২ শতাংশ সুদ সহ ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
কলকাতা উচ্চ আদালতের এই রায় ঘোষণা করার পরই সাংবাদিক বৈঠক করেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, যাঁরা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন তাঁদের ব্যাপারে কী বলবেন? প্রাক্তন বিচারপতি বলেন, “তাঁদের উদ্দেশে শুধু একটা কথাই বলব, ওঁরা জোচ্চোর, ওঁদের ফাঁসি হওয়া উচিত। আবারও বলব ওঁরা জোচ্চোর ওঁদের ফাঁসি হওয়া উচিত”। তাঁর কথায়, “যে সব চাকরিপ্রার্থীরা আন্দোলন করছিলেন, তাঁদের প্রতি আমার সহানুভূতি রয়েছে। এই জোচ্চোরদের কারণে তাঁদের জীবনের বহুমূল্য সময় নষ্ট হল”।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি এবং নবম-দশমের জন্য প্যানেল তৈরি হয়েছিল ২০১৬ সালে। পরে প্যানেলের মেয়াদ বাড়িয়ে এবং অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে প্রায় ২৬ হাজার জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। অর্থাৎ প্রায় ৭ বছর ধরে সরকারি চাকরি করেছেন ২৫ হাজার ৭৫৩ জন। অভিযোগ হল, এই চাকরি অনেকেই অর্থের বিনিময়ে পেয়েছেন। অর্থাৎ চাকরি পাওয়ার জন্য মোটা টাকা দিয়েছেন। এখন তাঁদের সাত বছরের বেতনের টাকা একসঙ্গে ফেরত দিতে হবে। শুধু তা নয়, ১২ শতাংশ হারে সুদও গুণতে হবে। ফলে এই ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের উপর যে বড় খাঁড়া নেমে এসেছে তা নিয়ে সংশয় নেই। ইতিমধ্যে তাঁদের এ ব্যাপারে প্রশাসনের একাংশে একটা উদ্বেগও তৈরি হয়েছে।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কেও তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “এই মুখ্যমন্ত্রী জোচ্চোর। তিনি জোচ্চোরদের আশ্রয় দেন। তিনি মিথ্যাচারী। এই মুখ্যমন্ত্রীর উচিত এখনই পদত্যাগ করা। বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে লোকসভা ভোট হোক”। তাঁর কথায়, “আজকে আনন্দের দিন নয়। এবার এই জোচ্চোরদের বিদায় দিতে হবে। দুর্নীতির কারণে চাকরি থেকে শুধু হিন্দুরা বঞ্চিত হননি মুসলমানরাও হয়েছেন। তাই হিন্দু, মুসলমান সম্প্রদায় নির্বিশেষে এই শাসক দলকে বয়কট করা উচিত”।