শেষ আপডেট: 6th November 2024 14:39
ডুয়ার্সে তো অনেকেই গেছেন। তবে 'মিনি ডুয়ার্স' বলেও যে একটা জায়গা আছে তা কজন জানেন? শুধু তাই নয়, এই জায়গা রয়েছে কলকাতার খুব কাছে, হাওড়াতে! মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে চলে যাওয়া যেতে পারে সবুজের মাঝে।
হাওড়া জেলার ঝালুয়ারবেড় সবুজে ঘেরা একটি জায়গা। এটিই 'মিনি ডুয়ার্স' নামে পরিচিত। কারণ যে চেনেন না, তাঁকে এই জায়গার ছবি দেখালে সে বিশ্বাস করে নেবে এটাই ডুয়ার্সের জঙ্গল। যদিও এই এলাকায় না আছে পাহাড়, না আছে হাতির বা অন্য কোনও পশু। তবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের নিরিখে কোনও অংশে ডুয়ার্সের থেকে কম নয় 'মিনি ডুয়ার্স'।
'মিনি ডুয়ার্স' কীভাবে যাবেন?
নিজের গাড়ি বা বাইকে গেলে তো কথাই নেই। মাত্র দেড়-দুই ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে যাওয়া যায়। তাছাড়া ট্রেনে করেও যেতে পারেন। এর জন্য হাওড়া স্টেশন থেকে আমতা লোকাল ধরতে হবে। তারপর নামতে হবে ঝালুয়ারবেড় স্টেশনে। সবুজে ঘেরা এই স্টেশনে অহরহ পাওয়া যায় পাখিদের ডাক। তাছাড়া জঙ্গল এবং ভেজা মাটির গন্ধও পুরোপুরি ডুয়ার্সের অনুভূতি দেবে।
ঝালুয়ারবেড় স্টেশন সাধারণত বেশ ফাঁকাই থাকে। সেভাবে ভিড় থাকে না। কারণ পর্যটনের স্থান হিসেবে এখনও ততটা জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি এই জায়গা। তাই শহরের ভিড়, কোলাহল থেকে বেরিয়ে এসে কয়েকদিনের জন্য এই জায়গা সত্যিই দারুণ লাগবে।
কী কী দেখার আছে?
স্টেশন থেকে নেমে একটু এগোলেই রয়েছে একটি শিব মন্দির। গ্রামের পথ ধরে এগিয়ে গেলে রাস্তায় বেশ কয়েকটি ছোট ছোট মন্দির পড়বে। রামকৃষ্ণ বাটি রয়েছে। এর মধ্যে শিবকালী মন্দিরের আদল নজর কাড়তে বাধ্য। আকারে ছোট হলেও, এর চূড়া অনেকটা দক্ষিণশ্বরের মন্দিরের আদলে তৈরি করা হয়েছে। গ্রামের দিকে যত এগোতে থাকবেন, দেখবেন রাস্তার দুই পাশে শুধু গাছ, সবুজের মেলা।
অক্টোবরের শেষে ইতিমধ্যেই শীত-শীত ভাব আসতে শুরু করেছে। চাইলে একদিন ভোর-ভোর বেরিয়ে পড়তেই পারেন। ঝালুয়াবেড় পৌঁছে প্রথমেই চলে যান রামকৃষ্ণ বাটি, শিবকালী মন্দির। এরপর গ্রামের রাস্তায় ঘুরে দেখতে পারেন। সঙ্গে ক্যামেরা থাকলে কথাই নেই। প্রকৃতিপ্রেমীদের মনে মজতে বাধ্য।