শেষ আপডেট: 16th January 2025 14:50
দ্য ওয়াল ব্যুরো: চিকিৎসকদের ফাঁকিবাজি ঠেকাতে এবার ওটির গেট পর্যন্ত তো বটেই অপারেশন থিয়েটরের ভিতরেও সিসিটিভি লাগানো উচিত বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এরপরই মুখ্যসচিব ও স্বাস্থ্য সচিবের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, "সব অপারেশন থিয়েটারের বাইরে গেট পর্যন্ত সিসিটিভি লাগান। যারা আপত্তি জানাচ্ছে, তাদের বলুন প্লিজ ছুটি নিন। কারণ, আপনার ভুলের জন্য মানুষের মৃত্যু মেন নেওয়া যায় না। এক্ষেত্রে কারও বাধা মানব না।"
প্রশ্ন তুলেছেন, "অপারেশন থিয়েটারের গেটের আগে সিসিটিভি লাগাতে দেওয়া হয় না। কেন হয় না?" খানিক থেমে জবাবও দিয়েছেন নিজেই। মমতার কথায়, "ওটির ভিতরেও থাকা উচিত বলে আমি মনে করি। কিন্তু সিস্টেম থাকা উচিত। এটা ঠিক প্রাইভেট পেশেন্ট, অনেকে চায় না। আমরা দেখাব না। কিন্তু গেট পর্যন্ত কে যাচ্ছে, কে আসছে, কারা ভিতরে আসছে, কারা বেরোচ্ছে। তার তথ্য রাখা দরকার। কোনও ক্ষেত্রে গাফিলতির অভিযোগ উঠলে তখন সেটা খতিয়ে দেখা যাবে।"
সরকারের একটা নিয়ম আছে সিনিয়র ডাক্তারদের ৮ ঘণ্টা করে ডিউটি করতে হবে। মনে করিয়ে মুুখ্যমন্ত্রী বলেন, ডাক্তারদের শ্রদ্ধা জানিয়েই বলছি। চিকিৎসা পেশায় যাঁরা যোগ দিয়েছেন তাঁদের জীবনে সেবাই মূল ধর্ম হওয়া উচিত। কখনও কখনও অসুস্থতা ১ সেকেন্ডও অপেক্ষা করে না। সিজার তো সিনিয়র ডাক্তারদের কাজ। আমাকে কেউ যদি সিজার করতে বলেন, আমি পারব না। ওটা আমার কাজ নয়। একটা মানুষ বিপদে পড়লে ডাক্তারদের কাছে যায়।
এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, "এত নার্সিং স্টাফ, এত প্যারামেডিকেল, এত কর্মী, এত ডাক্তার। কী লাভ? কখনও ছুটি আসবে, কখনও পুজো আসবে। কিন্তু কেউ যদি মনে করেন, দায়িত্ব পালন করবেন না, তাহলে কি তা জাস্টিফাই করা যায়?"
সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবার গাফিলতি নিয়েও এদিন সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "অনেক সময় দেখেছি, একটা অ্যাক্সিডেন্ট কেস গেল জুনিয়র ডাক্তার দেখে বলল মারা গেছে নিয়ে যান। আমি তাকে লাইফ সাপোর্ট দেব। তাই পত্রপাঠ বিদেয় দেওয়া আমাদের কাজ নয়। আমাদের চিকিৎসকদের উচিত আরও মানবিক হওয়া।"