শেষ আপডেট: 18th June 2024 20:01
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জুনের তৃতীয় সপ্তাহেও বর্ষার দেখা নেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে। ফ্যানের কাছ থেকে সরলেই মুহূর্তে গলদঘর্ম অবস্থা। এমন পরিস্থিতিতে যদি সত্যি জল, বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়! তারপরের পরিস্থিতি ভাবতে গিয়ে শিউড়ে উঠছেন পুলিশ কর্মীরা।
গত সোমবার বেলা থেকে রাজভবনের অভ্যন্তরে থাকা পুলিশ আউট পোস্টের কর্মীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে এমন আতঙ্কের পরিবেশ। সৌজন্যে, রাজভবনের একটি 'নির্দেশ'।
সূত্রের খবর, সোমবার সকালে রাজভবন থেকে লালবাজারে একটি নোটিশ পাঠানো হয়, তাতে অবিলম্বে রাজভবনের ভেতরে থেকে পুলিশ অফিসগুলি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যদিও লালবাজার ওই নোটিশ গ্রহণ করেনি বলে খবর।
এর পরই বেলার দিকে রাজভবনের ভেতরে থাকা পুলিশ অফিসগুলির বিদ্যুৎ ও জলের সংযোগ কেটে দেওয়া হবে বলেও রাজভবন থেকে জানানো হয়। এমনকী পুলিশ অফিসগুলিতে সোমবার বিকেলে রাজ্যপাল নিজে এসে তালা লাগাবেন বলেও শোনা গিয়েছিল।
তারই মাঝে ট্রেন দুর্ঘটনার খবর সামনে আসতে এদিকে আর মনোযোগ দেননি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রওনা দেন অকুস্থলে। পুলিশ কর্মীদের আশঙ্কা, উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরে এ ব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ করতে পারেন বোস।
রাজভবনের ভেতরে পুলিশ আউট পোস্টের এক কর্মীর কথায়, "ভাবুন তো, এই গরমের মধ্যে জল আর বিদ্যুতের লাইন যদি সত্যি সত্যি কেটে দেওয়া হয়, তাহলে পরিস্থিতি কী হবে?" স্বভাবতই, রাজভবনের সোমবারের নোটিশ এবং হুঁশিয়ারি ঘিরে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন রাজভবনের ভেতরে ডিউটিতে থাকা পুলিশ কর্মীরা।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার ঘরছাড়াদের নিয়ে রাজভবনে গিয়েও রাজ্য পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পরের দিন মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। আদালতও এব্যাপারে পুলিশের তীব্র সমালোচনা করে বলেছিল, "রাজ্যপাল কি গৃহবন্দি নাকি?"
কড়া বিবৃতি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল বোসও। এমনকী এব্যাপারে রাজ্যের কৈফিয়তও তলব করেছিলেন রাজ্যপাল। সূত্রের খবর, এ ব্যাপারে রাজ্যের কোনও সদুত্তর না পেয়ে রাজভবনের ভেতরে থেকে পুলিশের আউট পোস্ট সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।