শেষ আপডেট: 28th October 2024 17:37
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সাত বছর ধরে রেশনে কারচুপি এবং সরকারের পাঠানো খাদ্য সামগ্রীতে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ! মালদহের কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লকের এক রেশন ডিলারকে ৭ কোটি ৮৬ হাজার টাকা জরিমানা করল জেলা খাদ্য দফতর।
শুধু জরিমানা বললে ভুল হবে। ইতিমধ্যে আশরাফুল ইসলাম নামে ওই ডিলারের লাইসেন্স বাতিল করে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে খবর। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন অভিযুক্ত।
রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ
মালদহ জেলা খাদ্য দফতরের অভিযোগ, এক হাজারেরও বেশি ভুয়ো জাল কার্ড ছাপিয়ে সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে রেশনের সামগ্রী তুলতেন তিনি। পরে তা চড়া দামে বাজারে বিক্রি করতেন। ২০১৫ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। শুধু রেশন ডিলার নন, তিনি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের সাহবানচক পঞ্চায়েতের তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির সভাপতিও ছিলেন।
মালদহ জেলা খাদ্য নিয়ামক শাশ্বতসুন্দর দাস জানিয়েছেন, কালিয়াচক-৩ ব্লকের সাহাবাগান চকের ওই রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। সেই অভিযোগ পেতেই সদর মহকুমা খাদ্য দফতরের পক্ষ থেকে তাঁকে সাসপেন্ড করে সাত কোটি ৮৬ হাজার টাকার জরিমানা ধার্য করা হয়েছে।
জেলা খাদ্য দফতরের আরও অভিযোগ, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া সাহাবাগান চক এলাকায় আশরাফুলের নিজস্ব রেশন দোকান রয়েছে। ভুয়ো রেশন কার্ড ব্যবহার, সরকারি খাদ্য সামগ্রী বন্টনে দুর্নীতি-সহ নানা অপরাধমূলক কাজে আগে থেকেই তাঁর নাম জড়িয়েছে।
পাশাপাশি রাজ্য দুর্নীতি দমন শাখার অফিসেও কয়েক মাস আগে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হয় অভিযোগ। এলাকার মানুষরা গণস্বাক্ষর করে ডেপুটেশন জমা দেয়। তারপরই কড়া পদক্ষেপ নেয় প্রশাসন।
দুর্গাপুজো মিটতেই রেশন দুর্নীতি মামলায় সক্রিয় হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। গত বুধবারই কলকাতা, হাওড়া-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি চালিয়েছেন তদন্তকারীরা। দক্ষিণ কলকাতার বাঙুরে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে চলে তল্লাশি। পাশাপাশি রেশন দুর্নীতি মামলায় বাকিবুর রহমানকে নাগালে পেতে আগেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ইডি।