শেষ আপডেট: 9th February 2019 07:00
দ্য ওয়াল ব্যুরো : শুক্রবার সন্ধ্যায় সবাইকে চমকে দিয়ে তাইল্যান্ডের রাজকুমারী উবলরত্না ঘোষণা করেছিলেন, তিনি ভোটে দাঁড়াবেন। তাতে ভীষণ রেগে গিয়েছেন রাজকুমারীর ভাই তথা তাইল্যান্ডের রাজা মহা বজ্রলঙ্গকর্ন। শুক্রবার মাঝরাতেই তিনি এক বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, রাজকুমারীর সিদ্ধান্ত ‘অত্যন্ত অনভিপ্রেত’ ও ‘রাজপরিবারের ঐতিহ্যের বিরোধী’। ৬৭ বছরের রাজকুমারীর পছন্দের দলের নাম থাই রোকষা চার্ট পার্টি। শিনাওয়াত্রা নামে এক পরিবারের সদস্যরা ওই দলটি তৈরি করেন। উবলরত্না ওই দলের হয়েই ভোটে দাঁড়াতে চান। কিন্তু রাজা ওই বিবৃতি দেওয়ার পরে তাঁর পক্ষে ভোটে দাঁড়ানো সম্ভব হবে কিনা বলা মুশকিল। রাজা বিবৃতিতে বলেছেন, রাজপরিবার রাজনীতির উর্ধ্বে। তবে তিনি দিদির সমালোচনা করেননি। বরং তার সমাজসেবামূলক কাজের প্রশংসাই করেছেন। তাইল্যান্ডে রাজপরিবারের সমালোচনা করা নিষিদ্ধ। কারও কথায় যদি রাজপরিবারের অসম্মান হয়েছে মনে হয়, তবে মানহানির মামলায় কঠোর শাস্তি দেওয়া হয় তাকে। কিন্তু রাজার দিদি যদি ভোটে দাঁড়ান, বিরোধীরা তাঁর সমালোচনা করবেই। সেক্ষেত্রে রাজপরিবারের সম্মান নষ্ট হবে বলে রাজা মনে করেন। শুক্রবার দেশবাসীকে আরও একটি চমক দিয়েছেন সেনাশাসক প্রায়ুত চান ও চা। তিনি মিলিটারির সমর্থক ফালাং প্রাচারাত পার্টির হয়ে প্রার্থী হবেন বলে জানিয়েছেন। আগামী ২৪ মার্চ ভোট হবে তাইল্যান্ডে। ২০০১ সাল থেকে দেশের সব নির্বাচন জিতে আসছে থাকসিন সিনাওয়াত্রার দল। সিনাওয়াত্রা নিজে থাকেন দেশের বাইরে। তাঁর দলকেই সমর্থন করেন রাজকুমারী। তিনি এক বিদেশীকে বিবাহ করার জন্য রাজকীয় খেতাব ত্যাগ করেছিলেন। ১৯৭২ সালে তিনি আমেরিকার নাগরিক পিটার জেনসেনকে বিবাহ করেন। পরে অবশ্য তাঁদের ডিভোর্স হয়ে যায়। তিনি আমেরিকা থেকে ফিরে আসেন তাইল্যান্ডে। তাঁর পুত্র পুম ছিল অটিস্টিক। ২০০৪ সালে সে সুনামিতে মারা যায়। রাজকুমারী তাইল্যান্ডের জনতার কাছে খুব পরিচিত মুখ। তিনি সিনেমার নায়িকা হয়েছেন। গানও গাইতেন। শুক্রবার তিনি ইনস্টাগ্রাম মারফৎ জানিয়েছিলেন, সাধারণ নাগরিক হিসাবে তিনি নির্বাচনে লড়তে চান। থাকসিন সিনাওয়াত্রার দলকে খুবই অপছন্দ করে তাইল্যান্ডের সেনাবাহিনী ও ব্যাঙ্ককের এলিট সমাজ। কিন্তু গ্রামের গরিব মানুষের কাছে ওই দল জনপ্রিয়। রাজকুমারী নিজে সমর্থন করায় থাকসিনের দলের মর্যাদা আরও বৃদ্ধি পেল বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা। সিনাওয়াত্রা একসময় তাইল্যান্ডের শাসক ছিলেন। ২০০৬ সালে সেনা অভ্যুত্থানে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন।