শেষ আপডেট: 24th September 2024 15:12
দ্য ওয়াল ব্যুরো: চাকরির দাবিতে চলতি বছরের জুলাই মাসে রাস্তায় নেমেছিলেন ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণরা। এবার রাজ্যের মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করতে চান তাঁরা। সঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়ে বললেন, আলোচনা না হলে অবস্থান চলবে।
মঙ্গলবার ২০২২ প্রাথমিক টেট পাশ ডিএলএড ঐক্যমঞ্চের তরফে মুখ্যসচিবকে দেওয়া চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘রাজ্যে ২০১৭ সালের প্রাথমিক টেট পরীক্ষার পরে ২০২২ সালের প্রাথমিক টেট পরীক্ষায় আমরা উত্তীর্ণ, প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত চাকরিপ্রার্থী আপনার দৃষ্টি। আকর্ষণ করছি। আমরা আমাদের নূন্যতম ১০জন প্রতিনিধির সাথে আপনার ও মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে অথবা বন্যার পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী, মাননীয় শিক্ষা সচিব, মাননীয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি মহাশয়ের উপস্থিতিতে কোনও প্রশাসনিক ভবনে নতুন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি ও আনুসাঙ্গিক কিছু দাবি নিয়ে আলোচনায় বসতে চাই।’
মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে দেওয়া ওই চিঠিতে তাঁরা আরও লেখেন। বলেন, ‘আমরা এর আগে সমস্ত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ সভাপতি, শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিক, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি, সাংসদ, বিধায়কদের একাধিকবার ডেপুটেশন কর্মসূচির মাধ্যমে আমাদের দাবি জানিয়েছি। আমরা কালীঘাটের জনতার দরবারেও অনেকবার আমাদের দাবি জানিয়েছি। আমরা পারমিশন নিয়ে বহুবার মিছিল করেছি। আমরা কোর্টের আদেশে একাধিকবার ধর্না করেছি। আমরা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ,
বিকাশভবন, নবান্ন, বিধানসভায় আমাদের দাবি জানাতে গিয়ে বেশ কয়েকবার পুলিশের কাছে আটক হয়েছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমরা দাবিগুলির প্রেক্ষিতে কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ দেখতে পাইনি ও সদুত্তর পাইনি।’
তাঁদের অভিযোগ, শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা সচিব তাঁদের সঙ্গে একবারও আলোচনায় বসেননি। উল্লেখ করেন জুনিয়র ডাক্তারদের প্রসঙ্গও। লেখেন, ‘চিকিৎসকদের সাথে সরকার তথা প্রশাসনের সদর্থক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সামাধানের পথ বেরিয়েছে। আমরাও চাইছি আমাদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা হোক। তাই মহাশয়, আপনার থেকে বৈঠকের নির্দিষ্ট পরিকল্পনার উত্তর আশা করছি।’
বস্তুত, নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই টানা পাঁচ বছর টেট পরীক্ষা বন্ধ ছিল। শেষবার টেট হয়েছিল ২০১৭ সালে। পরে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল ঘোষণা করেন এবার থেকে প্রতি বছর টেট হবে। কথা মতো ২০২২ সালে ডিসেম্বরে টেট পরীক্ষা নেওয়া হয়। সেই পরীক্ষার ফল বেরোয় ২০২৩ সালে। পাশ করাই সার। এখনও নিয়োগ না হওয়ায় বেকার হয়ে পথে পথে চাকরিপ্রার্থীরা।