শেষ আপডেট: 15th April 2019 18:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের আগে ফের অশান্ত উপত্যকা। পুলওয়ামার ত্রালে ন্যাশনার কনফারেন্স নেতা মহম্মদ আসরফ ভট্টের বাড়ি লক্ষ করে গ্রেনেড হামলা হলো মঙ্গলবার। ঘটনায় হতাহতের খবর না মিললেও, নির্বাচনের আগে ত্রালে ফের সন্ত্রাসবাদী হামলায় রীতিমতো উদ্বিগ্ন প্রশাসন। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন আশরফের বাড়ির বাইরে গ্রেনেড ছোড়ে সন্ত্রাসবাদীরা। ঘটনার পরই এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ। পৌঁছয় নিরাপত্তাবাহিনী। পুলিশ জানিয়েছে, নেতার বাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালানোই ছিল উদ্দেশ্য। গ্রেনেড বাড়ির বাইরে ফাটে, তাই ঘটনায় কেউ আহত হননি। লোকসভা ভোটে জম্মু-কাশ্মীরে জোট গড়ল কংগ্রেস ও ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি)। শ্রীনগর আসনটিতে লড়বে এনসি, প্রার্থী ফারুক আবদুল্লা। জম্মু ও উধমপুর আসন দু’টিতে লড়বে কংগ্রেস। অনন্তনাগ, লাদাখ ও বারামুলায় দু’দলের ‘বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতা’ হবে। এনসি বিধায়ক সুভান ভট্টের ছেলে আশরফের বাড়ি লক্ষ্য করে এর আগেও গ্রেনেড হামলা হয়েছে। ২০১৭ সালে এই হামলায় গুরুতর জখম হন এক সিআরপিএফ জওয়ান। চলতি বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে জঙ্গি হামলার পর থেকে উত্তেজনার পারদ চড়েই আছে। কখনও পুলওয়ামার ত্রাল, কখনও দক্ষিণ কাশ্মীরের সোপিয়ানে দফায় দফায় চলছে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই। ভোটর আগে তাই কার্যত নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা উপত্য়কা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, বিজেপি-পিডিপি জোট ভেঙে গিয়ে রাজ্যপাল শাসন শুরু হওয়ার পর থেকেই হিংসা কয়েক গুণ বেড়েছে কাশ্মীরে। পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রক্রিয়া বানচাল করতেও মরিয়া হয়ে ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছিল বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী। তা নিয়েও হিংসা ছড়িয়েছিল উপত্যকার বিভিন্ন জায়গায়। পিডিপি এবং ন্যাশনাল কনফারেন্সের পাশাপাশি উপত্যকায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে হুরিয়ত কনফারেন্সের বিভিন্ন গোষ্ঠী এবং কাশ্মীরের অন্যান্য বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনও। সব মিলিয়ে ভোটের আগে উপত্যকার পরিস্থিতি ফের সঙ্কটজনক।