Advertisement
ধস নেমে বন্ধ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক
Advertisement
শেষ আপডেট: 30 June 2024 15:13
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বৃষ্টির জেরে উত্তরবঙ্গে দুর্ভোগ পিছু ছাড়ছে না। মাঝে কয়েক দিন বিরতির পর গত মঙ্গলবার রাত থেকে ফের পাহাড়ে শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টি। যার জেরে ফুঁসছে তিস্তা নদী। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে তিস্তার জল। দফায় দফায় প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত সিকিম ও কালিম্পং। একাধিক এলাকায় ধস নেমেছে। বন্ধ হয়ে গিয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক।
এনএইচ১০ সিকিমের 'লাইফলাইন' হিসেবে পরিচিত। তিস্তার পার ধরে গিয়েছে সংশ্লিষ্ট জাতীয় সড়ক। ধসের কারণে ওই রাস্তা দিয়ে যান চলাচল আপাতত বন্ধ রেখেছে প্রশাসন। শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং এবং সিকিমের মধ্যে সংযোগরক্ষাকারী এই সড়ক এদিন বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিপাকে পড়েন বহু মানুষ।
১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশ ধসে যাওয়ায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে সিকিমগামী রাস্তা। ফলে প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে। ২৯ মাইল এবং গেইলখোলার মাঝে রাস্তার উপর বড় বড় পাথরের চাঁই পড়েছে। ওই জায়গার সম্পূর্ণ রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বিকল্প পথে গাড়িগুলিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আপাতত শিলিগুড়ি থেকে সিকিমগামী গাড়িগুলিকে সেবক, ডুয়ার্স, লাভা, আলগাড়া, কালিম্পং এবং কালিম্পং থেকে মংগন হয়ে রংপো হয়ে গ্যাংটকে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বর্ষা প্রবেশ করার কয়েকদিন পর থেকেই উত্তরবঙ্গ, সিকিমে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। যার জেরে একদিকে তিস্তা সহ অন্য পাহাড়ি নদীগুলিতে জলস্ফীতি হয়েছে। একইসঙ্গে ধস নেমেছে কালিম্পং, দার্জিলিং, সিকিম যাওয়ার রাস্তায়। মাঝে ক’টা দিন পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলেও বুধবার সকালে ফের বিস্তীর্ণ এলাকায় ধস নামে।
অন্যদিক, শনিবার রাত থেকে একটানা বৃষ্টি চলছে ধুপগুড়ি-সহ ডুয়ার্সে। বৃষ্টি ও ঝড়ো হওয়ায় বিভিন্ন রাস্তায় উপরে পড়েছে গাছ। এদিকে একটানা বৃষ্টির জেরে জলস্তর বেড়েছে সমস্ত নদীতে। তিস্তায় জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতা। ফুঁসছে রবিবার সকালেই গজল ডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে প্রায় ২৬০০ কিউমেকের বেশি জল ছাড়া হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জলপাইগুড়িতে বৃষ্টি হয়েছে ১৩৬ মিলিমিটার।
Advertisement
Advertisement