শেষ আপডেট: 11th March 2025 12:33
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজ্যের সরকারি প্রাথমিক স্কুলগুলিতে (Primary School) শিক্ষকের শুন্য সংখ্যা ৫ হাজার ৬৩৫টি। এর মধ্যে অধিকাংশই গ্রামে। শিক্ষকের অভাবে বহু গ্রামের স্কুলে নিয়মিত পঠনপাঠন হয় না বলেও অভিযোগ। মঙ্গলবার এ বিষয়টি উঠেছিল বিধানসভার আলোচনা পর্বে।
সেখানে প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে এদিন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) যা বলেছেন, তা যথেষ্টতাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। ব্রাত্য বসু বলেন, "আমি মনে করি শিক্ষকদের চাকরি জীবনের শুরুতে গ্রামাঞ্চলে গিয়ে শিক্ষকতা করা উচিত!"
মঙ্গলবার বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ূন কবীর এ বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। যার জবাবে একথা বলেন ব্রাত্য।
শিক্ষামন্ত্রী আরও জানান, ছাত্র শিক্ষকের আনুপাতিক হার কত তা দেখার কাজও শুরু করছে শিক্ষা দফতর। কোন স্কুলে কত ছাত্র রয়েছে, সেই অনুপাতে শিক্ষকের সংখ্যা কত, এসব দেখা হচ্ছে। কোথাও অতিরিক্ত শিক্ষক থাকলে তাঁকে অন্যত্র বদলি করার চেষ্টা করা হয়, কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই শিক্ষকরা অন্যত্র যেতে চান না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী।
যা থেকে মনে করা হচ্ছে, আগামী দিনে এ বিষয়ে পদক্ষেপ করতে পারে সরকার।
একই সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী জানান, রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলোতে ২০২৩ সালে ৯৫০০নিয়োগ সম্ভব হয়েছে। এখনও প্রায় ৫৬৩৫ টি শূন্যপদ রয়েছে। আইনি জটিলতার কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে। তবে আশা করছি দ্রুত নিয়োগ হবে।