শেষ আপডেট: 5th September 2024 20:05
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাটি হাতে ভিক্ষা করলেন শিক্ষকরা। ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসের দিনে এমনই লজ্জার ছবির সাক্ষী থাকল হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন এলাকা। সুবিচারের দাবিতে প্রশাসনের টনক নড়াতে বৃহস্পতিবার এমনই অভিনব প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করলেন এনএসকিউএফ এর চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক, শিক্ষিকা এবং ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্টরা।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, দীর্ঘ ১১ বছরে তাঁদের বেতন এক টাকাও বৃদ্ধি হয়নি। উপরন্তু শিক্ষকদেরও মাসের বেতন মাসে সুনিশ্চিত নেই, ২ থেকে ৬ মাস অন্তর বেতন হয়। শিক্ষিকাদের মাতৃত্বকালীন কোনও সুযোগ সুবিধাও নেই। টানা ৩৫ মাস বেতনহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্টরা। এমনকী বকেয়া বেতনের কথা বলতে গেলে ছাঁটাইয়ের হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।
শিক্ষিকা পৌলমী মণ্ডল বলেন, "গত ২ মাস ধরে বেতন পাচ্ছি না। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে বাঁচব কী করে? বাধ্য হয়ে সরকারের দৃৃষ্টি আকর্ষমের জন্য রাস্তায় বাটি হাতে নেমে পড়েছি।"
পশ্চিমবঙ্গ এনএসকিউএফ শিক্ষক সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক শুভদীপ ভৌমিক বলেন, "১১ বছরের জীবন যন্ত্রণা থেকে মুক্তি চাইছি। অবিলম্বে আমাদের স্থায়ী করে সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে আনা হোক।" একই সঙ্গে অন্যায়ভাবে ছাঁটাই হওয়া যোগ্য ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্টদের বেতন-সহ পুনর্বহালের দাবিও জানান তিনি।
ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট অমিত রায় বলেন "যোগ্য হওয়া সত্বেও অন্যায়ভাবে ছাঁটাই করা হয়েছে।" আর্তির সুরে বলেন, "কাজটা ফিরে পেতে চাই, পরিবার নিয়ে একেবারে পথে বসে গেছি।"
রাজ্যের ১৬১১ টি সরকার ও সরকার পোষিত উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৬ টি বিভিন্ন বৃত্তিমূলক বিষয়ে ২৯০০ জন এনএসকিউএফ এর চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক, শিক্ষিকা কর্মরত। ইনফরমেশন টেকনোলজি, হেল্থ কেয়ার, অ্যাপারেল, প্লাম্বিং, ফুড প্রসেসিং, কনস্ট্রাকশন ইত্যাদি বিষয়ে তাঁরা পড়ান। ২০১৩ সালে এই শিক্ষকদের সমগ্র শিক্ষা মিশনের অধীনে 'ভোকেশনালাইজেশন অফ স্কুল এডুকেশনের' অন্তর্গত ন্যাশনাল স্কিলস কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক (এনএসকিউএফ) প্রকল্পে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত স্থায়ী বিষয়গুলিতে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা দ্বারা অস্থায়ীভাবে নিয়োগ করা হয়। অভিযোগ, তারপর থেকে ন্যূনতম সরকারি সুযোগ সুবিধাও পান না তাঁরা।