শেষ আপডেট: 18th January 2025 11:59
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আবারও বাঙালিদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন। ইঙ্গিত দিলেন আর লেখালিখি করবেন না তিনি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তসলিমার উজ্জ্বল উপস্থিতি। আরজি কর থেকে বাংলাদেশের গণঅভ্য়ুত্থান, হিন্দুদের উপর অত্যাচার, সব নিয়েই ফেসবুকে সরব হন লেখিকা। এবারও তাঁর বাঙালিবিদ্বেষ সামনে এল। সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন, 'হয়েছে, অনেক হয়েছে। ৫০টার চেয়েও বেশি বই লিখেছি অকৃতজ্ঞ বাঙালির জন্য, যে বাঙালি আমাকে গোটা বাংলায় এক ইঞ্চি মাটি দেয়নি দাঁড়াবার। এই অকৃতজ্ঞ বাঙালি আমার নিজের দেশে আমাকে বাস করতে দেয়নি।'
দীর্ঘদিন ধরেই ভারতের 'আশ্রিতা' তিনি। ১৯৯৪ সালে দেশ ছাড়তে হয়েছিল তসলিমাকে। ইসলাম বিরুদ্ধ লেখালেখির জন্য তাঁর বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি হয়েছিল। এরপর দীর্ঘদিন ইউরোপ-আমেরিকায় থাকার পর ভারতে ঠাঁই হয় তাঁর। ২০০৪ সাল থেকে টানা তিন বছর পশ্চিমবঙ্গে ছিলেন তসলিমা।
এরপর 'দ্বিখণ্ডিত' নিষিদ্ধ হওয়ার পর হুমকির মুখে পড়ে কলকাতা ছাড়তে বাধ্য হন। যদিও তসলিমার অভিযোগ সুনীল গঙ্গোপাধ্য়ায়ের অঙ্গুলি হেলনে তাঁকে কলকাতা-ছাড়া করেছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।
তসলিমা আরও লেখেন, 'নিরন্তর নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছে আমার অস্তিত্ব। এদের জন্য ভেবে মরে গেলেও, এদের কষ্ট নিবারণ করতে চাইলেও, এদের সুখ শান্তির জন্য, এদের প্রাপ্য অধিকারের জন্য দিন রাত না ঘুমিয়ে কাটালেও এদের কিছু যায় আসে না। এরা আমকে গালি দেবেই, এরা আমাকে অপমান অপদস্থ করবেই, এরা আমাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করবেই, অবজ্ঞা করবেই, উপেক্ষা করবেই। দেখা হলো তো ৩০ বছর! এখন থেকে, যতদিন বাঁচি, বই পড়বো, গান শুনবো, নাটক সিনেমা দেখবো, ভ্রমণ করবো, আর আকাশ দেখবো।'
তসলিমার এই পোস্ট ঘিরে সোস্যাল মিডিয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ তাঁর বক্তব্যকে সমর্থন করে বলছেন, তসলিমার মতো একজন সাহিত্যিককে তাঁর নিজ দেশ থেকে নির্বাসিত করা লজ্জাজনক। আবার অনেকেই বলছেন, তসলিমার কথাগুলো সবসময়ই বিতর্ক তৈরি করার উদ্দেশ্যে বলা হয়।