শেষ আপডেট: 25th November 2023 12:45
দ্য ওয়াল ব্যুরো, হাওড়া: অনলাইনে কেনা লটারির টিকিটে একসঙ্গে উঠেছে প্রথম ও দ্বিতীয় পুরস্কার। দু’লক্ষ টাকা দিয়ে দিলেও প্রথম পুরস্কারের এক কোটি টাকার টিকিটটি নিয়ে টালবাহানা শুরু করেন দোকানদার। তাই নিয়ে বচসা বাঁধলে তা গড়ায় থানা পর্যন্ত। এরপরেই পুলিশের হস্তক্ষেপ। এখন পুলিশের বিরুদ্ধেই একরাশ অভিযোগ নিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন ঘুসুড়ির বাসিন্দা আলমগীর মণ্ডল।
আলমগীর পেশায় দর্জি। তিনি জানান, গত ২১ নভেম্বর ঘুসুড়ির জে এন মুখার্জি রোডের একটি লটারির দোকান থেকে অনলাইনে ১২০০ টাকায় একটি সিরিজের টিকিট কাটেন। পরে তিনি জানতে পারেন তার কেনা টিকিটে দুটি পুরস্কার উঠেছে। তার দাবি, প্রথম পুরস্কার এক কোটি টাকা এবং দ্বিতীয় পুরস্কার দু লক্ষ টাকা জিতেছেন।
আলমগীরের অভিযোগ, লটারির দোকানের মালিক গোপাল আগরওয়াল দু লক্ষ টাকা পুরস্কারের মধ্যে এক লক্ষ আশি হাজার টাকা অনলাইনে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দিলেও, এক কোটি টাকার পুরস্কারের টিকিট তিনি কেনেননি বলে দাবি করেন। এই নিয়ে গোপাল আগরওয়ালের সঙ্গে তাঁর বিবাদ হয়। আলমগীরের দাবি, দুপুর দেড়টায় খেলা হওয়ার পড়েই তিনি জানতে পারেন, তাঁর টিকিটে এক কোটি টাকার পুরস্কার উঠেছে। কিন্তু তা অস্বীকার করতে থাকেন দোকানদার। যেহেতু তিনি অনলাইনে টিকিট কেটেছিলেন তাই তাঁর কাছে হার্ডকপি ছিল না।
দুজনের বচসার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে মালিপাঁচঘড়া থানার পুলিশ। দু’পক্ষকে থানায় ডাকা হয়। আলমগীর বলেন, “থানায় ডেকে পুলিশ আধিকারিকরা আমাকে হুমকি দেয় এবং গালাগালি করে। এর পাশাপাশি জেতা এক কোটি টাকা থেকে ৩০ লাখ টাকা ওরা দাবি করে। অত টাকা আমি কোথায় পাব। তাই দূর দূর করে থানা থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। টিকিট এখন ওদের কাছেই আছে।” জানা গেছে, ২২ তারিখ রাতে লটারি কোম্পানির মেইন ডিলারের বালির অফিস থেকে এক কোটি টাকার টিকিটটি উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ ওই টিকিটটিকে বাজেয়াপ্ত করেছে।
টাকা পাওয়ার জন্য এখন উকিলের দ্বারস্থ হয়েছেন আলমগীর। তাঁকে নিয়ে ছোটাছুটি করছেন তিনি। মালিপাঁচঘড়া থানার পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই টিকিটের দুজন দাবিদার থাকায় তারা গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। দু’পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হওয়ায় দুজনকে গ্রেফতার করে পরে জামিন দেওয়া হয়। আদালতেও বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে পুলিশের দাবি।