শেষ আপডেট: 3rd November 2024 21:40
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সরকারি ওয়েবসাইট হ্যাক করে পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার টাকা সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আগেই উঠেছে প্রতারকদের বিরুদ্ধে। রাজ্য সরকারের বাংলার শিক্ষা ওয়েবসাইট হ্যাক করে একাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের জন্য বরাদ্দ ৭ লক্ষ টাকা সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শিক্ষা দফতর।
সূত্রের খবর, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চারজন প্রধান শিক্ষককের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। রবিবার অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস-এর রাজ্য সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি জানিয়েছেন, আমরা ইতিমধ্যে জেলাশাসককে সবটা জানিয়েছি। এর একটা বিহিত হওয়া দরকার। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
চন্দন বলেন, আমি কমিশনার অফ স্কুল এডুকেশন কে বিষয়টি জানিয়েছি। যাতে এই ঘটনা না আর ভবিষ্যতে না তা দেখতে হবে। তিনি মনে করিয়ে দেন, কোনওভাবে যদি এই ঘটনায় প্রধান শিক্ষকদের টার্গেট করা হয় বা তাঁরা যদি গ্রেফতার হন, তাহলে আগামী দিনে আন্দোলন আরও তীব্রতর হবে। আমাদের দাবি নন অ্যাকাডেমিক কর্মসূচি থেকে প্রধান শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়া।
শিক্ষা দফতরের নির্দেশে বলা হয়েছে, অভিযোগ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য স্কুলপরিদর্শকের কাছে জমা দিতে হবে। জানা গিয়েছে, পুজোর ছুটির পর ৫ নভেম্বর স্কুল খুলছে। তার আগেই এই সংক্রান্ত তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে।
সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট স্কুলে একাদশ, দ্বাদশের মোট পড়ুয়ার সংখ্যা কত? এর মধ্যে কতজন ট্যাবের টাকা পেয়েছে? কতজন পায়নি? বাংলা শিক্ষা পোর্টালে কতজনের নাম তুলতে সমস্যা হয়েছে? সেই সমস্ত তথ্য স্কুল পরিদর্শকের কাছে দিতে বলা হয়েছে।
আর এই সময়ের মধ্যে তথ্য না দিলে সেক্ষেত্রে ছুটির পর সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ডেকে পাঠানো হতে পারে। সে কারণেই প্রধান শিক্ষকদের উপর যাতে আঁচ না পড়ে তা আগেভাগেই স্পষ্ট করল প্রধান শিক্ষকদের সংগঠন।