শেষ আপডেট: 30th September 2024 22:29
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে নানা অভিযোগ আসছে। আরজি কর কাণ্ডের পর ন্যাশনাল মেডিক্যাল হোক বা সাগর দত্ত হাসপাতাল কিংবা রামপুরহাট, 'থ্রেট কালচার'-এর অভিযোগ কম নেই। এবার সেইসব অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই কমিটি গড়ল স্বাস্থ্যভবন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানিতে এই 'থ্রেট কালচার'-এর প্রসঙ্গ উঠেছিল। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এই তদন্ত কমিটি গড়ল স্বাস্থ্যভবন।
সোমবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে স্বাস্থ্যভবনের তরফে জানানো হয়েছে, ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে তাঁরা। মূলত তিনজনের বিরুদ্ধে তদন্ত করবে এই কমিটি। তাঁরা হলেন, রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ করবী বড়াল, ওই কলেজেরই প্রাক্তন ডিন স্বরূপ সাহা এবং কৌশিক কর। তদন্ত কমিটিকে আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে স্বাস্থ্যভবনের তরফে।
তদন্ত কমিটিতে কারা রয়েছেন? স্বাস্থ্যভবন নির্দেশিকায় জানিয়েছে, এই কমিটির সদস্যরা হলেন স্বাস্থ্যভবন চেয়ারপার্সন আইএএস সুদেষ্ণা গুপ্ত, এনআরএস-এর অধ্যক্ষ পিতবরণ চক্রবর্তী, ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ উৎপল দান, তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ শর্মিলা মালিক এবং পিএসসি আরামবাগের অধ্যক্ষ রমাপ্রসাদ রায়।
আরজি কর কাণ্ডের পর 'থ্রেট কালচার' নিয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা সরব হয়েছেন। বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ থেকে এর অভিযোগ আসছে। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ থেকে শুরু করে আরও একাধিকজনের নাম ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিরূপাক্ষ, অভীক। তবে জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, এর পিছনে বড় কোনও মাথা থাকতে পারে। সুপ্রিম কোর্টও বারংবার চিকিৎসকদের নিরাপত্তার ইস্যু মাথায় রেখে রাজ্য সরকারকে নানা পদক্ষেপ নিতে বলেছে।
সোমবার আরজি কর মামলায় সুপ্রিম কোর্টে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা, সাগর দত্ত হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তার আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা থেকে শুরু করে একাধিক বিষয় ওঠে আদালতে। দ্বিতীয় স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। সেই রিপোর্ট দেখে তদন্ত জারি রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।