শুভেন্দু অধিকারী।
শেষ আপডেট: 17th July 2024 15:14
দ্য ওয়াল ব্যুরো: লোকসভার পর সদ্য সমাপ্ত উপ নির্বাচনেও ভরাডুবি হয়েছে পদ্ম শিবিরের। বাংলায় ভোট বিপর্যয়ের কারণ খুঁজতে সায়েন্স সিটিতে দলের কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসেছে বঙ্গ বিজেপি। রয়েছেন শীর্ষ নেতৃত্বও। সেখানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়ে দিলেন, বিজেপির সাংগঠনিক দুর্বলতা, নেতৃত্বে ব্যর্থতা রয়েছে কিনা, তা পরে খতিয়ে দেখা হবে। আগে বাংলার গণতন্ত্রকে রক্ষা করা জরুরি।
নিজের হাতের আঙুলে থাকা ভোটের কালি দাগ দেখিয়ে শুভেন্দু বলেন, "এই যে আমার হাতে ভোটের কালির দাগ দেখছেন ২৬ সালের ভোটে ওরা আমাকেও ভোট দিতে দেবে না। কারণ, আমি হিন্দু। বাড়ির সামনে ৫০ জন জেহাদি বসে থাকবে। পুলিশও কিছু করবে না। তাই যা করার আমাদের এখন থেকেই করতে হবে।"
এরপরই বিরোধী দলনেতা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেন, যাঁরা আমাদের সঙ্গে নেই, আমরাও তাঁদের সঙ্গে নেই। শুভেন্দু আরও জানিয়ে দেন, এবারের ভোট থেকে আমরা তিনটে জিনিস পেয়েছি। এক, তৃণমূলের বিকল্প বিজেপি। দুই, বাংলায় বিজেপি মুসলিম ভোট পায় না। তিন, ভোট কাটাকাটি করে তৃণমূলের জয়ের সুবিধা করে সিপিএম।
শুভেন্দু বলেন, "ভয়ঙ্কর অবস্থা। আগে বিরোধী হলে আটকানো হত। এখন হিন্দু বলে আটকানো হচ্ছে। বাংলাকে ইসলামাবাদে পরিণত করার চেষ্টা হচ্ছে। মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হলে উপদ্রুত আইন কার্যকর করে বাংলায় ভোটের ব্যবস্থা করতে হবে।"
এ ব্যাপারে মঙ্গলবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি রাতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদ্রী মুর্মুকেও তিনি চিঠি লিখেছেন শুভেন্দু। নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, "বলা হচ্ছে নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে ভোট করিয়েছে। সেখানে কারচুপির অভিযোগ করা হচ্ছে কেন? আরে ভোটার কার্ড দেখার অধিকারই তো কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দেওয়া হয়নি। তাঁদেরকে বুথের সামনের পাহারায় দাঁড় করিয়ে রেখে অবাধে ভোট লুট হয়েছে। তা সত্ত্বেও আমরা ২ কোটি ৩৩ লক্ষ ভোট পেয়েছি। ওরা ২ কোটি ৭৫ লক্ষ ভোট পেয়েছে। আমাদের ভোটের মধ্যে কোনও মুসলমান ভোট নেই। মমতার ভোটে অর্ধেক জল মেশানো, অর্ধেক মুসলমানের ভোট।"
তৃণমূলের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনী লেলিয়ে নেতা, মন্ত্রীদের জেলে ভরে বাংলায় জোর করে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করা হয়েছিল ২১ এর বিধানসভা ভোট এবং ২৪ এর লোকসভা ভোটের আগে। এদিন সেই অভিযোগ খণ্ডনে শুভেন্দুর দাবি, ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ করে বা পিছনের দরজা দিয়ে বাংলা দখলের কোনও ইচ্ছে বিজেপির নেই। বরং বাংলার মানুষের ভোটাধিকার আগে নিশ্চিত করতে হবে। সেজন্য উপদ্রুত আইন কার্য়করী করা জরুরি।