শেষ আপডেট: 18th February 2025 13:19
দ্য ওয়াল ব্যুরো: লাগাতার সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক মন্তব্য করে বাংলায় অশান্তি পাকাতে চাইছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অভিযোগ বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "উনি যে ধরনের প্ররোচনামূলক মন্তব্য করে চলেছেন তারপরও বাংলা শান্ত রয়েছে এটাই বড় কথা। এই ধরনের বিবৃতির জন্য মানুষের কাছে ওর ক্ষমা চাওয়া উচিত!"
স্পিকার এও বলেন, "শুভেন্দু অধিকারীর অসাংবিধানিক মন্তব্য করার পরও বাংলার মানুষ যে শান্ত রয়েছেন, এজন্য তাঁদের ধন্যবাদ প্রাপ্য।"
ঘটনার সূত্রপাত, সোমবার বিধানসভায় বিশৃঙ্খলার অভিযোগ বিরোধী দলনেতা-সহ চার বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করেন স্পিকার। এমনকী সাসপেন্ডের পরও সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগে বিধানসভার তরফে এদিন বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়।
পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক থেকে বিরোধী দলনেতা বারেবারে দাবি করেছেন, "তৃণমূলের সরকারই সাম্প্রদায়িক, এরা ভোটের জন্য ধর্মের রাজনীতি করছে"।
এরপরই পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক থেকে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানান।
স্পিকার বলেন, "আমি অত্যন্ত মর্মাহত ওনার বক্তব্য নিয়ে। বিধানসভা দুর্বল নয়, বিরোধী দলনেতাকে এই বার্তা পৌঁছে দিন। সমালোচনা করার হলে এখানে এসে করুন। ফ্লোর হল বিরোধীদের। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এই ব্যাপারে অত্যন্ত পরিষ্কার। কিন্তু তা না করে উনি যেভাবে প্ররোচনা দিচ্ছেন তাতে অশান্ত হতে পারে। ওনার ক্ষমা চাওয়া উচিত।"
তবে শুভেন্দুর আনা অভিযোগ সম্পর্কে এদিন স্পিকার কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, "বিষয়টি বিধানসভার প্রিভিলেজ কমিটি দেখছে, ফলে এ নিয়ে যা বলার উনি (শুভেন্দু) ওই কমিটির সামনে বলবেন।" একই সঙ্গে স্পিকার জানান, বিরোধী দলনেতা নমনীয় আচরণ করে যদি শাস্তি কমানোর আবেদন জানান, সেক্ষেত্রে সেটি বিবেচনা করে দেখা হবে।
এ ব্যাপারে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিধানসভার পরিষদীয় দলনেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, "বিরোধী দলনেতা সাংবাদিকদের সামনে দাঁড়িয়ে যে ধরণের মন্তব্য করেছেন, তা বিধানসভার ইতিহাসে আগে কখনও ঘটেনি। বাংলায় আমরা নিজস্ব সংস্কৃতির জন্য গর্ব বোধ করতাম। উনি ভোটের রাজনীতির জন্য সেই গর্বকে নষ্টর চেষ্টা করলেন। এতে আমরা অসম্মানিত।"
একই সঙ্গে শুভেন্দুকে হুঁশিয়ারি দিয়ে শোভনদেব এও বলেন, "উনি কতবড় হিন্দু সেটা উনি বাইরে গিয়ে প্রমাণ করুন। এরা না হিন্দু, না মুসলমান। এরা আসলে ভোটের রাজনীতির জন্য এই সব করছেন।"