মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে গত মাসে দিঘাতে জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনে গিয়েছিলেন সস্ত্রীক দিলীপ ঘোষ। সেই থেকে বারে বারে বিভিন্ন ইস্যুতে দিলীপ-শুভেন্দুর মতান্তর সামনে এসেছে।
গ্রাফিক্স- দ্য ওয়াল।
শেষ আপডেট: 16 May 2025 13:13
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বৃহস্পতিবারই দল বদলে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বিজেপি-র উত্তরবঙ্গের প্রাক্তন সাংসদ (BJP EX MP) জন বার্লা (John Barla)। বার্লার এই দলবদল নিয়ে এবার পরস্পর বিরোধী অবস্থান শোনা গেল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ও দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) প্রতিক্রিয়ায়। যা নিয়ে নতুন করে কৌতূহল ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
দল বদলে বৃহস্পতিবার তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন জন বার্লা। তাঁর এই দলবদলের জন্য সাংবাদিক বৈঠক থেকে সরাসরি শুভেন্দু অধিকারীকে দায়ী করে বার্লার অভিযোগ, “রেলের জমিতে ১৬০ কোটির হাসপাতাল বানাতে চেয়েছিলাম। ১০০ শতাংশ ফান্ডও জোগাড় করেছিলাম। কিন্তু বিরোধী দলনেতা আটকে দিয়েছিলেন। এভাবে আটকালে কে দলে কাজ করবে?”
বার্লার এহেন মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করে ইতিমধ্যে তাঁকে আইনি নোটিস ধরিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। ক্ষমা না চাইলে মানহানি মামলা করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। ঠিক এমন আবহে জন বার্লার পাশেই দাঁড়াতে দেখা গেল বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। এদিন সকালে ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জন বার্লাকে 'বড় নেতা' বলেও অভিহিত করেন দিলীপ। শুধু এখানেই না থেমে এ ব্যাপারে দলের দিকেই প্রশ্ন ছুড়়ে দিয়েছেন দিলীপ।
দিলীপের কথায়, "অনেকদিন ধরে শুনছিলাম, উনি ছেড়়ে চলে যাবেন। এত বড় নেতা কেন পার্টি ছেড়ে চলে গেল, সেটা দলকেও ভাবতে হবে। এটা চিন্তার বিষয়।"
কেন একথা বলছেন, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন ঘোষবাবু। দিলীপ বলেন, "চা বাগান এলাকায় ট্রেড ইউনিয়নে জন বার্লার যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। উনি দলে আসায় বিজেপির লাভও হয়েছিল। কেন দল ছাড়লেন, এর পিছনে কারা রয়েছে, সেটা পর্যবেক্ষণ করে দেখা উচিত।"
জন বার্লার দল বদলের জন্য দিলীপ সরাসরি কারও নামোল্লেখ না করলেও দায়ী করেছেন দলের একাংশকেই। কাকতালীয়ভাবে, নিজের এই দলবদলের জন্য শুভেন্দুকে দায়ী করেছেন বার্লা। অনেকেই বিষয়টিতে দুয়ে দুয়ে চার করে দেখতে চাইছেন। সেই সূত্রে বার্লা ইস্যুতে দিলীপ ও শুভেন্দুর পরস্পর বিরোধী মন্তব্য নিয়েও বিভিন্ন মহলে কৌতূহল চড়ছে। বার্লার পথে দিলীপও আগামী দিনে হাঁটতে পারেন কিনা, তা নিয়েও বিভিন্ন মহলে চর্চা শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে গত মাসে দিঘাতে জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনে গিয়েছিলেন সস্ত্রীক দিলীপ ঘোষ। সেই থেকে বারে বারে বিভিন্ন ইস্যুতে দিলীপ-শুভেন্দুর মতান্তর সামনে এসেছে। দিঘায় দাঁড়িয়ে শুভেন্দুর নাম না করে দিলীপকে এও বলতে শোনা গিয়েছে, "যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঁচলের তলায় থেকে রাজনীতিতে বড় হয়ে বিজেপিতে এসে করে খাচ্ছে দিলীপ ঘোষ তাঁদের থেকে শিখবে না। দিলীপ ঘোষ জানে কীভাবে লড়াই করতে হয়।"