শেষ আপডেট: 13th August 2024 16:11
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সংঘটিত গণধর্ষণ এবং খুনের ঘটনাকে অস্বাভাবিক মৃত্যু বলে চালাতে গেছিল পুলিশ। মৃতার পরিবারকে আত্মহত্যার কথা বলা হয়েছিল। আরজি কর ইস্যুতে এমন অভিযোগ করেই রাজ্য পুলিশ এবং প্রশাসনকে তুলোধনা করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি ছিল আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত হোক। মঙ্গলবার আরজি কর মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তেরই নির্দেশ দিয়েছে। তারপর সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করার কথা বললেন শুভেন্দু।
কলকাতা হাইকোর্টের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পরই সংবাদমাধ্যমে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ''অনেকেই জানেন পুলিশের কর্তারা ওই পরিবারকে ভয় দেখিয়ে বা অনেক কিছু দেওয়ার বিনিময়ে প্রকৃত তদন্ত আটকাতে চেয়েছিল। আসল দোষীদের আড়াল করার চেষ্টা হয়েছিল। তাই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ ভাল দিক। তবে এখন প্রথমেই যেটা করা উচিত তা হল সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করা। যাতে চ্যালেঞ্জ করে মামলা না করতে পারে মমতার সরকার।''
আগেই শুভেন্দু দাবি করেছিলেন, সিবিআই তদন্ত শুরু হলে তিনি প্রথমেই বলবেন বিনীত গোয়েল, ডাঃ এসপি দাস এবং ডাঃ সন্দীপ ঘোষকে বুক করতে। হাইকোর্ট সিবিআই দেওয়ার পর তাঁর বক্তব্য, ''অনেক মামলা সিবিআই তদন্তের পরও কিনারা পায়নি। এমন অনেক উদাহরণ আছে ঠিকই, তাই আদালতের নজরদারিতে সিবিআই তদন্ত চেয়েছিলাম।''
পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি আরও বলেন, ''পুলিশ গর্হিত অপরাধ করেছে। অন রেকর্ড এটাকে সুইসাইড বলেছে। তদন্তের আগেই রায় দিয়ে দিয়েছে। বিরাট অপরাধ করেছেন বিনীত গোয়েল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই কাজ করেছেন তিনি।''
রাজ্য সরকারের কাছে এই ঘটনার কেস ডায়েরি ও তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে রিপোর্ট চেয়েছিল হাইকোর্ট। তা জমা পড়ার পরই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার আগে অস্বাভাবিক মামলা রুজুর বিষয় নিয়ে পুলিশের উদ্দেশে কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্ন ছিল, ''আপনারা কি রাস্তার ধারে মৃতদেহ খুঁজে পেয়েছিলেন যে অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রুজু করলেন? কেন প্রিন্সিপাল তৎক্ষণাৎ এসআইআর করেননি? আর আপনারাই তাঁকে পুরস্কৃত করলেন?''
আরজিকরের প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘাষকে মঙ্গলবারই অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, যতদিন পর্যন্ত না পরবর্তী নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, ততদিন বাড়িতে বসে থাকবেন সন্দীপ ঘোষ।