শেষ আপডেট: 12th November 2024 15:19
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সোমবার থেকেই ফের চাকরির দাবিতে পথে নেমে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেছেন গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীরা। নবান্নের কাছেই হাওড়ার মন্দিরতলার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ৪৮ ঘণ্টার শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দেখাচ্ছে গ্রুপ ডি ওয়েটিং ঐক্য মঞ্চ। মঙ্গলবার দুপুরে বিক্ষোভকারীদের মঞ্চে পৌঁছে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করার পাশাপাশি চাকরিপ্রার্থীদের সুবিচারের দাবিতে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগানও তোলেন তিনি।
শুভেন্দু মনে করিয়ে দেন, জানুয়ারি মাসে মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হলে লং মার্চ হবে। লাখো লাখো বেকার ছেলে-মেয়ে নবান্ন অভিযানে পথে নামবেন। সোমবার দুপুরেই উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। দার্জিলিংয়ের রিচমণ্ড হিলে রাত্রিবাস করেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে জিটিএ-র সঙ্গে বৈঠকও রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। একাধিক কর্মসূচি থাকলেও বিরোধী দলনেতা তা মানতে নারাজ। এদিন বিক্ষোভ মঞ্চ থেকে শুভেন্দুর সাফ জানান, ‘কোনও পরিকল্পনাই ছিল না। আপনাদের ভয় পেয়েই পাহাড়ে পালিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।'
শুভেন্দু চাকরিপ্রার্থীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা একদিন জয়যুক্ত হবেন। তবে চাকরিতে এই সরকারের আমলে কতটা নিয়োগ হবে, তা নিয়ে সন্দেহপ্রকাশ করে শুভেন্দু বলেন, ‘এই জটিলতা তৈরি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি উনি শুধু ভোটের রাজনীতি বোঝেন।’
বিরোধী দলনেতা এদিন স্পষ্ট করে বলেন, ‘লিখে রাখুন, পশ্চিমবঙ্গে যতদিন না ওবিসির জট কাটছে, একটাও নিয়োগ হবে না।’ শুধু রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানই নয়, এদিন পুলিশের ভূমিকা নিয়েও বড়সড় প্রশ্ন তোলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তিনি বলেন, 'টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পরেও যদি সরকারের ঘুম না ভাঙে তাহলে আগামীদিনে পুলিশকে বাঁচানো সম্ভব হবে না।'
তবে এখানেই থামেননি শুভেন্দু। নিয়োগ মামলায় জেলবন্দী রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। বাম আমলের সঙ্গে বর্তমান তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির হিসাব সামনে আনেন বিরোধী দলনেতা।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে গ্রুপ ডি পদে পরীক্ষার পর চাকরিপ্রার্থীরা তালিকাভুক্ত হন, ইন্টারভিউও হয়েছিল তাঁদের। কিন্তু পাঁচ বছর হতে চললেও মেলেনি নিয়োগ। আগেই চাকরির দাবিতে নবান্ন অভিযানের অনুমতি চেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু পরে প্রশাসনের তরফে লাল সিগন্যাল না পেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন চাকরিপ্রার্থীরা। এরপরই নবান্নের অদূরে মন্দিরতলায় ৪৮ ঘণ্টা শান্তিপূর্ণ অবস্থানের অনুমতি মেলে গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের। এদিন শুভেন্দুর সঙ্গে মঞ্চে দেখা যায় কংগ্রেস ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়া কৌস্তভ বাগচীকেও।