শেষ আপডেট: 18th September 2024 11:39
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ডিভিসি লাগাতার জল ছাড়ায় এই অবস্থার সম্মুখিন হচ্ছেন সাধারণ মানুষ এমন দাবি করছে সরকার। তবে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য মনে করেন, দোষ রাজ্যেরই। কারণ দীর্ঘ সময় ধরে বাঁধের কোনও পরিচর্যাই করা হয়নি। এই মুহূর্তে কী করা উচিত সরকারের, সেই 'পরামর্শ' দিয়েছেন তিনি।
সোমবারের পর মঙ্গলবারও জল ছেড়েছিল ডিভিসি। বুধবার নতুন করে ফের জল ছাড়া হয়েছে। তাতেই বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা আরও বেড়েছে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে শুভেন্দুর বার্তা, ''২০১৩ এবং ২০১৫ সালে যেমন সেনাবাহিনীর সাহায্য নেওয়া হয়েছিল, এখনও বন্যা পরিস্থিতি সামলাতে রাজ্য সরকারের তাই করা উচিত। তাহলেই বহু মানুষের প্রাণ বাঁচানো যাবে।'' রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়, মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে উদ্দেশ করে এই বার্তা দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।
নতুন করে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে হুগলি, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বর্ধমান, হাওড়া সহ দক্ষিণবঙ্গের বহু জেলায়। এর জন্য রাজ্য সরকারকেই দুষেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সাফ কথা, ''বাঁধের মেরামতি, পরিচর্যা করা হয়নি বহু বছর ধরে। কারণ এই অপদার্থ সরকারের কোনও টাকা নেই। পাশাপাশি পুলিশ, এসডিআরএফ, ডিজাজস্টার ম্যানেজমেন্টের সাহায্যও পান না আমজনতা। তাই জন্য আজ বাঁধ ভেঙে বসতিপূর্ণ এলাকায় জল ঢুকে যাচ্ছে।'' বর্ষা আসার আগে যদি সরকার কাজ করত তাহলে এই অবস্থা হয় না, দাবি তাঁর।
Due to non maintenance of the Irrigation Embankments and no pre-monsoon upkeep & restoration activities by the Irrigation Department as because the Insolvent State Govt has no funds to do so, there's flooding in the Hooghly, Bankura, Paschim Medinipur and parts of Purba Medinipur… pic.twitter.com/1Zy7wZU7Np
— Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) September 18, 2024
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে একাধিক জেলায় নজরদারির জন্য বিশেষ সচিবদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্লাবন পরিস্থিতির জন্য রাজ্যের ১০ জেলায় ১০ জন সচিবকে পাঠানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছে রাজ্য সরকার। দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকা থেকে মানুষকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে প্লাবনের আতঙ্ক এখনও কাটছে না। কারণ আরও জল ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে ডিভিসি।