শুভেন্দু অধিকারী
শেষ আপডেট: 5 May 2025 18:17
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ওয়াকফ অশান্তির জেরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল মুর্শিদাবাদ (Murshidabad)। সম্পত্তি নষ্ট তো করা হয়েছেই, জেলায় খুনও হন তিনজন। সেই ঘটনার দীর্ঘ সময়ে কেটে যাওয়ার পর সোমবার জেলা সফরে গেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তবে তাঁর সফরকে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, পছন্দের লোকজনদের নিয়ে মুর্শিদাবাদ সফরে গেছেন মমতা। পুলিশকেও আগে থেকে কিছু ব্রিফ করে দেওয়া হয়েছে। আর ভুল তথ্য দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুর্শিদাবাদের ঘটনা একটা বড় চক্রান্ত বলে দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলায় গিয়ে মমতা জানিয়েছেন, তিনি কারও বিপক্ষে নন তবে ষড়যন্ত্র, দাঙ্গার বিরুদ্ধে। সাফ কথা, যারা দাঙ্গা লাগায় তারা বাংলার শত্রু। তিনি খোঁজ নিয়েছেন কারা মুর্শিদাবাদের ঘটনার নেপথ্যে রয়েছেন। তাদের শাস্তি হবে, আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি তাঁর এও বক্তব্য ছিল, জেলার ২টি ওয়ার্ডে ঝামেলা হয়েছিল। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এই তথ্যকে মিথ্যে বলে দাবি করেছেন।
সাংবাদিক বৈঠক করে শুভেন্দু পাল্টা বলেন, ''হিন্দুরা যাতে সমস্যার কথা বলতে না পারেন সে কারণে তাদের গ্রাম ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। মমতা নিজের পছন্দের লোক নিয়ে গেছেন এবং কী বলবেন তা আগে থেকে ব্রিফ করা ছিল পুলিশকে। আর ২টি ওয়ার্ডের যে তথ্য দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তা মিথ্যে। ১০ জায়গার অন্তত ৯০০ দোকান-বাড়ি ভাঙা হয়েছে। স্থানীয়রা অনেকেই ঘর-বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন।'' শুভেন্দুর কটাক্ষ, মমতা বলছেন কেন তাঁকে দায়ী করা হবে। রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী হিসেবে তিনি দায় ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন। কিন্তু তা পারবেন না।
সোমবার মুর্শিদাবাদ গিয়ে অবশ্য কেন্দ্রীয় সরকারের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, অন্যান্য একাধিক রাজ্যে নানা ঘটনা ঘটে। মণিপুর, রাজস্থান, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশায় হিংসার ঘটনা ঘটেছে। কেন্দ্রের কোনও প্রতিনিধি যায়নি। তবে বাংলায় কিছু হলেই কেন একদিনের মধ্যেই সব চলে আসে, প্রশ্ন তাঁর। এই পরিপ্রেক্ষিতেই মমতার সাফ অভিযোগ, ''একেবার পরিকল্পনা করে এই ঘটনা ঘটনা হয়েছে। ধর্মের নামে কিছু বহিরাগতরা ভুল কথা ছড়িয়েছে। আর কিছু লোক প্ররোচিত হওয়ার ফলে এক গোষ্ঠীর সঙ্গে অন্য গোষ্ঠীর গন্ডগোল লেগেছে।'' যারা এই হিংসার ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাঁদের উদ্দেশে মমতার কড়া হুঁশিয়ারি, ''বাংলার মানুষ এসব বরদাস্ত করবে না।''
কোনও কোনও সংগঠন পরিস্থিতির ফায়দা নিয়ে হিংসা ছড়ায় বলে অভিযোগ করেন মমতা। তাঁর কটাক্ষ, কেউ কেউ ধর্মের নাম করে নিজেদের বড় নেতা মনে করে। রাজ্য সরকার কখনই কোনও রকম হিংসাকে প্রশ্রয় দেয় না। তবে কোনও সংগঠন এমন কাজ করলে তার দায় সরকারের নয়। স্পষ্ট জানান মুখ্যমন্ত্রী।