শুভেন্দু অধিকারী
শেষ আপডেট: 18 April 2025 00:40
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কাল থেকে চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কারা স্কুলে যাবেন, তা নিয়ে স্পষ্ট করে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) জানিয়ে দিয়েছে, যাঁরা অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত নন তাঁরাই কাজে যোগ দেবেন। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চের নির্দেশ, আগামী ৩১ মে-র মধ্যে রাজ্যকে হলফনামা দিয়ে বলতে হবে, চলতি বছর শেষের মধ্যেই নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ করা হবে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা নিয়ে শেষ করতে হবে নিয়োগপ্রক্রিয়াও। চাকরিহারাদের একাংশ প্রশ্ন তুলছে, নয়া নিয়োগপ্রক্রিয়ায় যে দুর্নীতি হবে না তার কী নিশ্চয়তা আছে? একই সন্দেহ শুভেন্দু আধিকারীরও (Suvendu Adhikari)।
বৃহস্পতিবার বিরোধী দলনেতা বলেন, "নতুন করে পরীক্ষা হওয়া মানে তৃণমূল আবার প্রশ্ন বিক্রি করবে, ভাইভার ১০ নম্বর তো তৃণমূলের হাতে আছে। নিজের লোকদের দশের মধ্যে নয় সাড়ে নয় দেবে, আর যাদের বাদ দিতে চাইবে তাদের এক-দেড়-দুই করে নম্বর দেবে। এভাবে তৃণমূল আবার ৫০০ কোটি টাকা তুলবে নির্বাচনের আগে"
সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে বিরোধী দলনেতা আরও বলেন, "বিষয়টা জটিল হয়ে গেছে। যোগ্যরা চাকরি বাঁচাতে চেয়েছিলেন। আদালত তাঁদের নয় মাসের বেতন নিশ্চিত করেছে কিন্তু সকলকে পরীক্ষায় বসতে হবে।" আর এই সুযোগটা কাজে লাগিয়েই তৃণমূল ব্যাপক দুর্নীতি করবে বলে অভিযোগ শুভেন্দুর।
এদিন ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মুর্শিদাবাদে, সেই নিয়েও শাসকদলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধী দলনেতা। তাঁর কথায়, "এটা কমিউনাল রাইট নয়, ধর্মযুদ্ধ। এরা কাশ্মীরের মতো হিন্দুদের ওখান থেকে সরাতে চায়। সলিউশন আমি দু'ভাবে বলতে পারি-- এক, এনআইএ দিয়ে পুরো রুটটা বন্ধ করে দেওয়া, দুই, যেখানে হিন্দুদের সংখ্যা কম সেখানে কাশ্মীরের মতো লাইসেন্স প্রাপ্ত বন্দুক দেওয়া হোক প্রত্যেককে। কারণ আত্মরক্ষার অধিকার প্রত্যেকের আছে।
শুভেন্দু বলেন, "ধুলিয়ান মিউনিসিপালিটির তৃণমূলের চেয়ারম্যান ইনজাম উলকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছে। গতকাল আমি ট্যুইট করে সব ফাঁস করে দিয়েছিলাম। এর আগে তৃণমূল বলছিল বাংলাদেশ নাকি নেপথ্যে রয়েছে।
তাই আমি বলব এনআইএ তদন্ত শেষ করে চার্জশিট দেওয়া পর্যন্ত ওখানে প্যারা মিলিটারি ফোর্স রাখা হোক।
শুভেন্দুর আরও অভিযোগ "মুর্শিদাবাদের আসল ঘটনা রাজ্য চেপে গিয়েছিল কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক প্রকৃত তথ্য নিজেরা খোঁজ নিয়ে জেনেছে। আদালতে সেটা জানিয়েছে।" তাঁর মতে শুধু মুর্শিদাবাদ না কোচবিহারের দিনহাটা থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং, বাসন্তী আগামী নির্বাচনে কোথাও হিন্দুরা ভোট দিতে পারবে না। রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে তবেই নির্বাচন করতে হবে।