শেষ আপডেট: 18th February 2025 15:50
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করার অভিযোগে সোমবার বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী সহ ৪ জন বিজেপি বিধায়ক। তারপরই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জানিয়েছিলেন, মঙ্গলবার অধিবেশন বয়কট করে বিধানসভার বাইরে ধর্না করবেন তাঁরা। সেই বিক্ষোভ-অবস্থান থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অতীত মনে করালেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, বিধানসভাকে নিজের সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহার করেন মুখ্যমন্ত্রী।
সাসপেনশন নিয়ে শুভেন্দুর বক্তব্য ছিল, তাঁকে চারবার সাসপেন্ড করা হয়েছে, এখনও পর্যন্ত পাঁচটা প্রিভিলেজ আনা হয়েছে। এটা হচ্ছে তৃণমূলের এক ধরনের নিত্যকর্ম। আসলে ওরা ভয় পেয়েছে এবং ইচ্ছে করে তাঁকে বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড করেছে। গণতন্ত্রের ইস্যু তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অতীত মনে করিয়েছেন শুভেন্দু। কীভাবে মমতা নিজে গণতন্ত্রকে 'শেষ' করেছেন, তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।
শুভেন্দু বলেন, ''এই বিধানসভাকে একসময়ে কলুষিত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ইনিই ২০০৬ সালের নভেম্বর মাসে বিধানসভার সদস্য না হয়েও এখানে ঢুকে সব আসবাব ভেঙেছিলেন। এই মুখ্যমন্ত্রী ২০০৫ সালে আগস্ট মাসে লোকসভায় ডেপুটি স্পিকারকে কাগজ আর চাদর ছুড়ে মেরেছিলেন। আর আজ এই মুখ্যমন্ত্রীই বিধানসভা থেকে লাইভ করছেন। এদিকে বিধানসভায় বিরোধী দলের নেতাই নেই।'' শুভেন্দুর খোঁচা, ''সরকার যেমন চালান, দল যেমন চালান, পরিবারের সম্পত্তি হিসেবে এই বিধানসভাকেও নিজের সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহার করেন।''
গোটা রাজ্যে একনায়কতন্ত্র চালাতে চান মমতা, এই দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কটাক্ষ, পাঠাগার কমিটি থেকে শুরু করে পুজো কমিটি, শ্মশান কমিটি সব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাই। বিরোধী দলনেতা বলেন, ২০১১ সালের পর থেকে রাজ্যকে এমনিতেই শেষ করে দিয়েছেন মমতা। এখন শুধু নিজের রাজত্ব কায়েম করার ইচ্ছে রয়েছে মমতার। শুভেন্দুর এও অভিযোগ, তৃণমূলের সরকারের মদতেই বাংলায় জঙ্গিদের বাড়বাড়ন্ত। যদিও এই মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রীও।
বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আমার সঙ্গে জঙ্গিদের সম্পর্ক আছে? প্রমাণ দিলে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার ছেড়ে দেব।" একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, "বাংলায় মাফিয়াদের কোনও জায়গা নেই। সন্ত্রাসকারী, দাঙ্গাকারীদের আমরা জায়গা দিই না।" এই প্রসঙ্গে নাম না নিয়ে শুভেন্দুদের মমতার কটাক্ষ, একটা ধর্মকে বিক্রি করে খাচ্ছে ওঁরা। কিন্তু তৃণমূল সরকার সব ধর্মকে সম্মান করে।