২০২০ সালে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই যোগদানের কারণের কথা বলতে গিয়েও তাঁর নিশানায় নিয়েছেন 'ভাইপো গ্যাং'-কে।
শুভেন্দু অধিকারী
শেষ আপডেট: 6 July 2025 11:11
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কসবা ল কলেজের (Kasba Law College) গণধর্ষণের ঘটনায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) ৩ নেতা গ্রেফতার হয়েছেন। ধৃতদের মধ্যে মনোজিৎ মিশ্র কলেজের প্রাক্তনী তবে চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। এই ঘটনায় একটি প্রশ্ন উঠে এসেছে - তৃণমূল করলেই কি চাকরি মিলবে? রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বক্তব্য, কলেজে কলেজে এটাই চলছে। সব জায়গাতেই মনোজিতদের মতো লোকেরা রয়েছে।
কসবার মতোই কাকদ্বীপ কলেজে তৃণমূল কর্মীদের চাকরির ইস্যুতে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। গোটা বিষয় নিয়ে কথা বলতে গিয়ে শুভেন্দু বলেন, ''কলেজে কলেজে মনোজিতরা আছে, এরা আসলে ভাইপো গ্যাং (Bhaipo Gang)। এদের হাতে কেউ সুরক্ষিত নন, এরা চিটিংবাজ।'' বিজেপি বিধায়ক আগেও দাবি করেছিলেন, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে বিকাশ ভবন থেকে কেউ নিয়োগ পান না, তৃণমূল ভবন থেকে শিক্ষা দফতর নিয়ন্ত্রিত হয়, ক্যামাক স্ট্রিট থেকে তালিকা আসে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এবারও তিনি নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেই নিশানা করেছেন।
২০২০ সালে তৃণমূল (TMC) ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই যোগদানের কারণের কথা বলতে গিয়েও তাঁর নিশানায় নিয়েছেন 'ভাইপো গ্যাং'-কে। রবিবার বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু স্পষ্টত বলেন, ''আমি ভাইপো গ্যাং-কে সমর্থন করতে পারিনি বলে বিজেপিতে যেতে হয়েছে। ওরা আমায় নিয়েছে বলে আমিও সব পদ ছেড়ে নাগরিক হিসেবে গেছি।''
কসবার ঘটনায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত মনোজিতের 'জেঠু' হিসেবে উঠে এসেছে তৃণমূল বিধায়ক অশোক দেবের নাম। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দুর মত, অশোক দেব ছাত্র আন্দোলন থেকে উঠে এসেছেন। তিনি একটা সময় পর্যন্ত সহজ-সরল জীবনযাপন করতেন। অত্যন্ত ভাল মানুষ। কিন্তু এখন যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে বিপর্যয়ে পড়েছেন। বিজেপি নেতার কটাক্ষ, ''অশোক দেবকে বিধায়ক থাকতে হলে ভাইপো গ্যাং-কে সমর্থন করতে হবে। তাই তিনি কিছু বলতে পারেন না।''
এই প্রেক্ষিতে আরও একটি প্রশ্ন থেকে যায় - কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলির এমন অবস্থা নিয়ে অধ্যক্ষ বা শীর্ষস্থানীয়রা কিছু বলেন না কেন। বিজেপি বিধায়ক এই পরিপ্রেক্ষিতে বলছেন, ''অধিকাংশ জায়গায় অধ্যক্ষরা চাপে এবং ভয়ে থাকে। আর অনেক জায়গায় এমন লোক পদে আছে যার যোগ্যতাই নেই অধ্যক্ষ হওয়ার।''
শুভেন্দু অধিকারী স্পষ্টত মনে করছেন, মূল কাজটা না করলে এই পরিস্থিতির বদল ঘটবে না। তাঁর সাফ কথা, প্রতিকার একটাই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাতে হবে।