মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী
শেষ আপডেট: 2nd December 2024 14:01
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সোমবার বাংলাদেশের চলতি অরাজক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ও হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার জন্য শান্তি বাহিনী পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ ব্যাপারে মমতা তথা রাজ্যের শাসকদলের কতটা সদিচ্ছা আছে সে ব্যাপারে প্রশ্ন তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
সোমবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আমি কেন্দ্রের সরকারের কাছে আবেদন করছি, যাতে তারা রাষ্ট্রপুঞ্জকে বলে, যে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে ওখানে একটা পিস কিপিং ফোর্স পাঠানো হোক।" তাঁর কথায়, "এটা কেন্দ্রের ব্যাপার। পররাষ্ট্রের ব্যাপার। তবে এও ঠিক যে, আমাদের অনেক বন্ধু আত্মীয়স্বজন বাংলাদেশে রয়েছে। ধর্ম, বর্ণ, জাতি যেখানেই আক্রান্ত হোক আমরা নিন্দা করি। আমরা চাই শান্তি ফিরুক। তা নিশ্চিত করা হোক। এই সভা থেকে প্রস্তাব নেওয়া হোক যে আমাদের বন্ধুদের ওপর যেন অত্যাচার না হয়।"
মুখ্যমন্ত্রীর পররাষ্ট্রের দিকে বল ঠেলে দেওয়ার ব্যাপারটাকে হাতিয়ার করেই শুভেন্দু বলেন, "যখন বাংলাদেশে কোটা বিরোধী আন্দোলন চলছিল, যখন হাসিনা সরকার দমনপীড়ন চালাচ্ছিল তখন মমতা আহ্বান করেছিলেন যে 'যাঁরা আক্রান্ত হবেন আসুন আমি শেল্টার দেব'। তখন ওঁর পররাষ্ট্রের কথা মনে পড়েনি?"
অন্যদিকে, বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ মমতার বাংলাদেশের মতামত নিয়ে বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী যা যা বিষয় বাংলাদেশ নিয়ে বললেন তা পুরোটাই রাজনৈতিক। আমরা বলার চেষ্টা করলে বলতে দেওয়া হল না। এক তরফা বলে গেলেন। হাততালি কুড়োনোর জন্য যে প্রচেষ্টা তিনি নিয়েছেন, তা নিন্দনীয়।"
শুভেন্দুর কথায়, "এখন যখন হিন্দুরা আক্রান্ত হচ্ছেন, শুধু বাংলাদেশ কেন গোটা পৃথিবী জুড়ে যখন হিন্দুরা আক্রান্ত হচ্ছেন তখন হিন্দু সনাতনীরা রাস্তায় নেমেছেন। জনবিস্ফোরণ হচ্ছে। ওঁর দলের হিন্দুদের মধ্যেও ব্যাপক জনরোষ তৈরি হয়েছে, তখন তিনি প্রধানমন্ত্রীর দিকে দায়িত্ব ঠেলছেন। দায়িত্ব ওঁকেও নিতে হবে।"
বস্তুত এদিন বিধানসভায় মমতা অসন্তোষের সঙ্গে বলেন, "গত ১০ দিন ধরে দেখছি, কেন্দ্রীয় সরকার চুপ করে আছে। তার দল (পড়ুন বিজেপি) রোজ মিছিল করছে। বলছে সীমান্ত আটকে দেব। খাবার দেব না। এটা আমাদের এক্তিয়ার নয়। আমরা চাই, প্রধানমন্ত্রী কথা বলুন। বিদেশমন্ত্রী কথা বলুন। দুই দেশ কথা বলুক। না হলে কেন্দ্র ভারতীয়দের ফেরাক। আমরা খাবার জোগাতে পারব।"
পশ্চিমবঙ্গের ৭৯ জন মৎস্যজীবী বাংলাদেশের জেলে আটকে রয়েছে। সরকার ট্র্যাক করেছে। আইনজীবী দিয়ে সাহায্য করা হয়েছে তাদের। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, "আমরা কেন্দ্রকে বলেছি। কিন্তু আজও তাদের মুক্তি দেওয়া হয়নি। অথচ এখানে বাংলাদেশের ট্রলার ডুবে গিয়েছিল। আমরা তাদের উদ্ধার করে দেশে পাঠিয়েছি। কিন্তু আমাদের লোককে ওরা ছাড়েনি। কেন্দ্রও ব্যাপারটা দেখুক।"