দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষকে কেন্দ্র করেই বুধবার থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মহেশতলা। আক্রান্তের সংখ্যা বহু। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে যেতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে।
সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী
শেষ আপডেট: 14 June 2025 12:34
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মহেশতলার ঘটনা নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari on Maheshtala Incident) নিশানায় রাজ্য সরকার। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষকে কেন্দ্র করেই বুধবার থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মহেশতলা। আক্রান্তের সংখ্যা বহু। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। ঘটনাস্থলে যেতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে। এবার আইনি পথেই মোকাবিলা করার হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি।
শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে মহেশতলার ঘটনা নিয়ে আরও একবার উদ্বেগ প্রকাশ করেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। স্থানীয় প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলে তিনি বলেন, '৪৮ ঘণ্টা পরও প্রশাসনের সাহায্য নজরে আসেনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ তারা। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রচণ্ড আতঙ্কে রয়েছেন।' বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, 'মহেশতলায় ত্রাসের রাজত্ব তৈরি করা হয়েছে।'
মহেশতলায় ১৬৩ ধারা জারি করে যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে তাঁকে, এমনই অভিযোগ এনেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, 'সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলার শুনানি হবে। আশা করছি মোথাবাড়ি, সন্দেশখালির মতো এখানেও যেতে পারব। বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি এবং যে শিব মন্দিরে আক্রমণ করা হয়েছে সেখানে প্রবেশ করতে পারব।'
বিরোধী দলনেতার যুক্তি, ১৬৩ ধারা অনুযায়ী চারজনের বেশি এক জায়গায় জমায়েত করা যাবে না। শুভেন্দু বলেন, "আমি আইন মেনেই আমার সঙ্গে একজন বিধায়ক নিয়ে অর্থাৎ দুজনে মিলে মহেশতলায় আক্রান্তদের কাছে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ পরিকল্পিতভাবে সেই অনুমতি দেয়নি তাই আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়েছে"।
বিজেপি নেতা আরও বলেন, 'আমরা ভোটের জন্য লড়ছি না, এটা একটি সম্প্রদায়ের সুরক্ষা ও তাঁদের বাঁচানোর লড়াই।' '..যদি বাঁচতে চাও, বিভেদ ভুলে এক হও', এই বার্তা দিয়েই সকলকে একসঙ্গে এগিয়ে আসার অনুরোধ করেন শুভেন্দু।
রবীন্দ্রনগর থানার ইন্সপেক্টর ইন চার্জ (Rabindranagar IC) মুকুল মিঁয়াকে দার্জিলিঙে পাঠানো হয়েছে। সেই জায়গায় আনা হয়েছে মালদহের রতুয়ার সার্কেল ইন্সপেক্টর সুজনকুমার রায়কে। মুকুল মিয়াঁর বিরুদ্ধেও তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে গোলমালের পরিস্থিতি তৈরি হয় মহেশতলায়। বেশ কয়েকটি দোকান ও বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে পরিস্থিতি সামলাতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ে উন্মত্ত জনতা। তাতে জখম হয় একাধিক পুলিশ কর্মী। প্রায় গভীর রাত পর্যন্ত ওই এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত ছিল। মহেশতলার অশান্তির ঘটনায় বৃহস্পতিবারই কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য পুলিশ মোট সাতটি মামলা দায়ের করে। গ্রেফতার করা হয় ৪০ জনকে।
মহেশতলায় (Maheshtala) ক্ষতিগ্রস্ত দোকান ও পরিবারগুলিকে সব ধরনের সাহায্য করতে হবে। স্থানীয় সাংসদ তথা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) এই নির্দেশ পাওয়ার পরই শনিবার সকাল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এবং দোকানগুলির তালিকা তৈরি শুরু করেন দলের কর্মীরা।