শেষ আপডেট: 17th January 2024 12:55
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ২২ তারিখ অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধন। সেদিনই সব ধর্মের মানুষের প্রতি সংহতি জানাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি মিছিলের আহ্বান করেছেন। বুধবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর তরফে ওই সংহতি মিছিল পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। একই সঙ্গে ওই দিন রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জিও জানানো হয়েছে।
আগামী সোমবার যখন অযোধ্যায় রামের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে তখন কলকাতায় কালীঘাট মন্দিরে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিন সব ধর্মের মানুষদের নিয়ে মিছিলও করবেন তিনি। পার্ক সার্কাস ময়দান থেকে সেই মিছিল হওয়ার কথা। কিন্তু তার বিরোধিতায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামীকাল এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শুভেন্দুর দাবি, ২২ তারিখ ওই মিছিল হলে রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে। এদিকে আবার ২২ জানুয়ারি রাম মন্দির উদ্বোধনের দিনে সংহতি যাত্রার নামে হিংসা-বিদ্বেষ তৈরি হতে পারে, অশান্তি-হিংসার ঘটনা ঘটতে পারে সেই আশঙ্কা থেকে রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছেন তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। বিষয়টি স্পর্শকাতর উল্লেখ করে রাজ্যপালের কাছে ব্যবস্থার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
অযোধ্যায় রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানকে মহারাজকীয় এক অধ্যায়ে পরিণত করতে চলেছে সরকার তথা বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবার। মঙ্গলবার এই নিয়ে তাদের কার্যত খোঁচা দিয়ে মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, “প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা আমাদের কাজ নয়। আমাদের কাজ পরিকাঠামো তৈরি করা।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য তখনই পাল্টা বলেছিলেন, বাংলায় হিন্দুদের নবজাগরণ হচ্ছে। তা দেখে ভীত শাসক দল।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বাংলায় উৎসব পার্বণ ও ধর্মীয় স্থানে পরিকাঠামোর উন্নয়ন সত্ত্বেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও হয়তো বুঝতে পারছেন, বিজেপি রাম মন্দির নিয়ে হিন্দুত্বের জিগিরকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাইছে। তাই পাল্টা কৌশল নিতেই হয়েছে তাঁকে। সেই কারণেই এই সংহতি মিছিলের ডাক। যদিও মিছিল আটকাতে প্রস্তুতি নিয়েছে বিজেপিও।