দ্য ওয়াল ব্যুরো: সামশেরগঞ্জের জাফরাবাদে নিহত পিতা পুত্র হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাসের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে সামনে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। শুভেন্দু অধিকারী তাঁদের হাতে  ১০লক্ষ ১হাজার টাকা তুলে দিলেন। তা গ্রহণ করলেন পরিবারের সদস্যরা। 

শুভেন্দু অধিকারীকে সামনে পেয়ে গ্রামের মহিলারা এদিন বিএসএফ ক্যাম্প তৈরির দাবিতে সরব হন। গ্রামে যাতে স্থায়ী বিএসএফ ক্যাম্প হয় তার ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দেন  শুভেন্দু।  পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, 
"পরিবারটি এখনও খুব আতঙ্কিত হয়ে রয়েছে। গ্রামের পরিস্থিতিও ভয়াবহ। পরিবারের একটাই দাবি, এনআইএ তদন্ত করা হোক। ওরা মুখ্যমন্ত্রীর টাকা প্রত্যাহার করলেও আমার টাকা গ্রহণ করা হয়েছে, এটা আমার পরম প্রাপ্তি। মুখ্যমন্ত্রী ব্রাত্য, বিরোধী দলনেতাকে গ্রহণ করা হয়েছে।"

শনিবার দুপুরে মুর্শিদাবাদে আসেন রাজ্যে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে সড়ক পথে নয়, ট্রেনে করে তিনি ধুলিয়ান গঙ্গা ষ্টেশনে পৌঁছন। এখান থেকেই সামশেরগঞ্জে আক্রান্তদের বাড়িতে যান তিনি।

চলতি মাসের মাঝামাঝি ওয়াকফ সংশোধনী বিল বাতিলের দাবিতে তেতে উঠেছিল মুর্শিদাবাদ। অবরোধ-বিক্ষোভে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় সুতি-সামসেরগঞ্জ-জঙ্গিপুর। গোষ্ঠী সংঘর্ষে মৃত্যু হয় তিনজনের। সামসেরগঞ্জের বাড়ি থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় বাবা ও ছেলের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃত বাবা ও ছেলের নাম হরগোবিন্দ দাস (৭৪) ও চন্দন দাস(৪০)। সুতির সাজুর মোড়ে মৃত্যু হয় ইজাজ আহমেদ (২১) নামে এক যুবকের। 

প্রশাসন অনুমতি না দেওয়ায় উত্তপ্ত সামশেরগঞ্জে পৌঁছতে পারেননি শুভেন্দু অধিকারী। তাই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। কিছুদিন আগেই কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় সামশেরগঞ্জে যেতে পারবেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে তিনি কোনও জমায়েত করতে পারবেন না। তারপরেই শনিবার সামশেরগঞ্জ পৌঁছন শুভেন্দু। তাঁকে অর্ভ্যথনা জানাতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব।