শেষ আপডেট: 2nd December 2022 13:52
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারে (Lalbazar) গিয়ে ১১ হাজার টাকা ফাইন দিয়ে এলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিভিন্ন সময়ে বিরোধী দলনেতার গাড়ি ট্রাফিক আইন ভাঙার (Trafic Rule Break) কারণে এই ফাইন করে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) ট্রাফিক বিভাগ। যদিও ফাইনের টাকা জমা দিয়ে লালবাজারের বাইরে বেরিয়ে শুভেন্দু ট্রাফিক আইন ভাঙার অভিযোগ মানতে চাননি। উল্টে চ্যাঞ্জের সুরে বলেন, "আমি ১১ হাজার টাকা জরিমানা (Fined) মিটিয়ে দিয়েছি। তবে একটা কথা, আমি কোথায় ট্রাফিক ভায়োলেন্স করেছি তার যথাযথ প্রমাণ দিতে হবে। যেমন কোথাও যদি নো পার্কিং জোনে গাড়ি রাখি, ওয়ান ওয়ে রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাই বা হাই স্পিডে গাড়ি চালিয়ে থাকি তার সঠিক প্রমাণ আমাকে দিতে হবে।" বিরোধী দলনেতা আরও বলেন, "ট্রাফিক আইন ভাঙার মোট যে চার-পাঁচটা নিয়ম আছে তার প্রমাণ দেখাতেই হবে। এই নিয়ে একটা চিঠি লিখে লালবাজারে দিতে এসেছি।" প্রমাণ না দিলে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন।
এদিন শুভেন্দু অধিকারী লালবাজারের সামনে দাঁড়িয়ে ল্যাপটপে (Laptop) একটি দ্রুত গতির গাড়ির চলে যাওয়ার ফুটেজ দেখান। দাবি করেন ওই গাড়িটি এক তৃণমূল সাংসদের। নাম বলবেন না বলে বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করেন, কিছুদিন আগে কাদাপারা থেকে মা ফ্লাইওভার ধরে দ্রুত গতিতে ওই তৃণমূল সাংসদের গাড়ি কালীঘাটে পৌঁছে যায়। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে ট্রাফিক আইন ভাঙার জন্য কোনও জরিমানা করা হয়নি। তাঁকে জরিমানা করা হলেও কেন তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের ক্ষেত্রে উল্টো নিয়ম হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু।
আগামীকাল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) যেমন কাঁথিতে অধিকারীদের বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে সভা করবেন, তেমনই শুভেন্দু অভিষেকের সংসদীয় এলাকা ডায়মন্ডহারবারে জনসভা করবেন। এই নিয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, "আমি ফলতায় সভা করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু অনুমতি দেয়নি। তাই ডায়মন্ডহারবারে বন্দরের জায়গায় সভা করছি। ওখানে তৃণমূলের জোর খাটবে না।"
দু'দিন আগে জেলা সফরে গিয়ে হিঙ্গলগঞ্জে মুখ্যমন্ত্রী কম্বল বিলি করেছেন। তা নিয়েও এদিন কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী।
'ধেড়ে ইঁদুর'মন্তব্য, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে ভাষা সংযমের পরামর্শ মন্ত্রী শোভনদেবের