শেষ আপডেট: 30th September 2024 20:32
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মহালয়ার দিন মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল প্রান্তিক চক্রবর্তী পরিচালিত শর্ট ফিল্মের। যার প্রেক্ষাপট ছিল আরজি করের ঘটনা। তৃণমূলের রাজন্যা হালদার অভিনীত এই ছবির বিষয়বস্তু সামনে আসতেই বিতর্ক বাঁধে। ছবির অনুমোদ দেয়নি তৃণমূল। তারপরই দলের কোপ পড়ে রাজন্যা-প্রান্তিকের ওপর।
টিএমসিপির রাজ্যসভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য দু’জনকেই সংগঠন থেকে সাসপেন্ড করে। যদিও রাজন্যা দলের শাস্তিকে মাথা পেতে নিয়েও বলেছিলেন, শর্টফিল্মের পথ থেকে সরে আসছেন না।
কিন্তু, সোমবার বিকেলে মত বদল হয়। বন্ধু তৃণাঙ্কুরকে মেল করেন ছবির পরিচালক প্রান্তিক। জানান, বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে, বিচারবিভাগীয় প্রক্রিয়ার কথা মাথায় রেখে এই মুহূর্তে শর্টফিল্ম প্রকাশ করছেন না তাঁরা।
এদিন সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতেও উঠে আসে রাজন্যা-প্রান্তিকদের শর্ট ফিল্মের প্রসঙ্গ। নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবীর তরফে জানানো হয়, সম্প্রতি আরজি কর ঘটনার প্রেক্ষাপটে একটি শর্ট ফিল্ম তৈরি হয়েছে। সেই ছবি যেন বন্ধ করার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত, সেই আর্জিও করা হয়। এরপর প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জানান, ছবি বন্ধ করার নির্দেশ দিতে হলে শুনানির প্রয়োজন রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি ছবির রিলিজ আটকাতে চান তাহলে আইনি পদক্ষেপ নিন’।
প্রসঙ্গত, ‘আগমনী: তিলোত্তমাদের গল্প’ নামে এই ছবির পোস্টার প্রকাশ পেতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড় ওঠে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন একটা বিচারবিভাগীয় বিষয় নিয়ে কী করে সিনেমা তৈরি হতে পারে? কেউ কেউ অভিযোগ করেন নির্যাতিতার নাম করে ব্যবসা করা হচ্ছে। যদিও তৃণমূল নেত্রী বলেছিলেন, রাজনীতির সঙ্গে এই সিনেমার কোনও সম্পর্ক নেই।
পরিচালক তথা তৃণমূল নেতা প্রান্তিকও জানিয়েছিলেন চারপাশের তিলোত্তমাদের গল্প বলতেই এই ছবি তৈরি করা হয়েছে। এর সঙ্গে আরজি কর কাণ্ডের কোনও সম্পর্ক নেই। যদিও পোস্টারে ঝকঝকে লেখা ছিল ‘আরজি কর ঘটনার পটভূমিতে’।