মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ
শেষ আপডেট: 18th January 2025 14:12
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রসূতি-মৃত্যু কাণ্ডে বৃহস্পতিবারই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ডের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল অভিযুক্ত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করেছে সিআইডি।
এই আবহে সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবিতে ঘেরাও কর্মসূচি সাসপেন্ডেড চিকিৎসকদের। মেদিনীপুর মেডিক্যালের অধ্যক্ষ, সুপার, সিএমওএইচ-সহ আধিকারিকদের ঘেরাও জুনিয়র ডাক্তারদের। তাঁদের বক্তব্য, যতক্ষণ না সাসপেনশন প্রত্যাহার করা হচ্ছে ততক্ষণ এই ঘেরাও কর্মসূচি চলবে। এর আগে আমরা দেখেছি, প্রিন্সিপাল কথা বলার আশ্বাস দিয়ে ব্যাকডোর দিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন। আমাদের পাশে কারা আছেন? কে কথা বলবেন?' অন্যদিকে, সুপারের বক্তব্য তিনি ২৪ ঘণ্টা হয়েছে দায়িত্ব নিয়েছেন।
মেদিনীপুরে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের গাফিলতির কথা স্পষ্ট করে রাজ্যকে রিপোর্ট জমা দিয়েছে রাজ্য গোয়েন্দা দফতর। শুক্রবার সকালে অভিযুক্ত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৫ ধারায় অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করলেন তদন্তকারীরা।
মেদিনীপুরে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের সুপার ডক্টর জয়ন্ত কুমার রাউত, প্রসূতি বিভাগের আরএমও ডক্টর সোমেন দাস, ডক্টর দিলীপ কুমার পাল, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ডক্টর হিমাদ্রী নায়েক, ডক্টর মহম্মদ আলাউদ্দিন, ডক্টর পল্লবী বন্দ্যোপাধ্যায় (সিনিয়র আরএমও), ডক্টর মৌমিতা মণ্ডল (পিজিটি), ডক্টর ভাগ্যশ্রী কুণ্ডু (পিজিটি), ডক্টর সুশান্ত মণ্ডল (ফার্স্ট ইয়ার পিজিটি), ডক্টর পূজা সাহা (ফার্স্ট ইয়ার পিজিটি), ডক্টর মনীশ কুমার (ফার্স্ট ইয়ার পিজিটি) এবং ডক্টর জাগৃতি ঘোষ (সেকেন্ড ইয়ার পিজিটি)কে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
সিআইডির পাশাপাশি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দলও ঘটনার তদন্ত করছে। সূত্রের খবর, ঘটনায় সাসপেন্ড চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়তে পারে। তদন্তকারীদের নজরে রয়েছেন আরও কয়েকজন চিকিৎসক।
সম্প্রতি মেদিনীপুরে এক প্রসূতির মৃত্যু এবং চার প্রসূতির গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনাকে ঘিরে শোরোগোল তৈরি হয়। পরে মৃত্যু হয় এক সদ্যোজাতরও। ঘটনার তদন্তে নেমে মেদিনীপুরে চিকিৎসকদের গাফিলতির বিষয়ে নিশ্চিত হন তদন্তকারীরা। এরপরই মেদিনীপুরের সুপার-সহ ১২ চিকিৎসককে সাসপেন্ডের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তখনই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, গাফিলতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু হবে।
পরিষেবার ক্ষেত্রে কারও গাফিলতি যে বরদাস্ত করা হবে না, বৃহস্পতিবার তা স্পষ্ট করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'মানুষের জবাব চাওয়ার অধিকার আছে। যেখানে অন্যায় হয়, সেখানে কথা উঠবেই। আমরা যেমন চিকিৎসকদের প্রতি সহানুভূতিশীল, তেমনি মানুষের দিকটাও দেখতে হবে। তাই তদন্তের সমস্ত রিপোর্ট খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কাউকেই ছাড়া হবে না।'