শেষ আপডেট: 19th January 2020 18:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভুয়ো পরিচয়ে ভারতীয় সেনা আধিকারিকদের কাছ থেকে তথ্য আদায় করাই ছিল তার কাজ। এর পর সে তথ্য পাচার করত পাকিস্তানে। ভারতের বিভিন্ন সেনা ঘাঁটি কিংবা যুদ্ধের সরঞ্জাম তৈরির কারখানা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য, ছবি, ভিডিও চলে যেত পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের হ্যান্ডলারদের কাছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগ ও উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখার যৌথ উদ্যোগে সোমবার বারাণসী থেকে এমনই এক সন্দেহভাজন আইএসআই এজেন্টকে গ্রেফতার করা হল।
ধৃতের নাম রশিদ আহমেদ। তদন্তকারী অফিসারদের দাবি, ২৩ বছরের রশিদের মোবাইল থেকে ভারতীয় সেনা ঘাঁটির অজস্র ছবি ও ভিডিও মিলেছে। কিন্তু নথিপত্রও উদ্ধার হয়েছে তার কাছ থেকে যেগুলি সন্দেহজনক। তার থেকেই অনুমান করা হচ্ছে, আইএসআই হ্যান্ডলারদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে রশিদের।
সেনা গোয়েন্দা সূত্রে খবর, চিন ও পাকিস্তানকে মাথায় রেখে দেশের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করা হচ্ছে। পুরনো সেনা ঘাঁটিগুলিকে নব কলেবর দেওয়া হচ্ছে। গড়ে উঠছে নতুন সেনা ও বিমান ঘাঁটি। ফলে, এই সব জায়গায় হামলা চালানো জঙ্গিদের নতুন পরিকল্পনা হতে পারে। প্রথমে ভারতের বিভিন্ন সেনা ঘাঁটি কিংবা যুদ্ধের সরঞ্জাম তৈরির কারখানা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য, ছবি পাকিস্তানে পাঠাবে চরেরা। তার পর সে সব বিশ্লেষণ করে, হোমওয়ার্ক করে এবং প্রস্তুতি নিয়ে মওকা বুঝে হামলা চালাবে এক বা একাধিক জঙ্গি গোষ্ঠী। যারা সকলেই পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের মদতপুষ্ট।
এর আগেও দেশের নানা জায়গা থেকে এমন সন্দেহভাজন আইএসআই এজেন্টদের পাকড়াও করা হয়েছিল। গত বছর পুলিশের জালে ধরা পড়ে দিল্লির বাসিন্দা মহম্মদ পারভেজ। পুলিশের দাবি ছিল, জেরার মুখে পারভেজ স্বীকার করে চরবৃত্তির কাজে গত আঠারো বছরের মধ্যে সতেরো বার পাকিস্তানে গিয়েছিল সে। মধুচক্রের সাহায্যে সেনা আধিকারিকদের ফাঁসিয়ে তাঁদের কাছ থেকে গোপন নথিপত্র হাতিয়ে নিত পারভেজ। এর পর মোটা টাকার বিনিময়ে সে সব গোপন নথিপত্র আইএসআইয়ের হাতে তুলে দিত সে।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখার অফিসাররা বলছেন, রশিদকে জেরা করা চলছে। অনুমান আগেও সে বহুবার পাকিস্তানে গিয়েছে। পাক গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলে সে।
দিনকয়েক আগেই দিল্লির বুকে আইএস-মডিউলের সন্ধান পেয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। প্রচুর পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র-সহ ইসলামিক স্টেটের (আইএস) তিন সন্দেহভাজন জঙ্গিকে হাতেনাতে পাকড়াও করেছিল দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল।