শেষ আপডেট: 19th August 2023 05:40
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নিয়ম বলবৎ হয়েছে দু-দশক আগে, ২০০২ সালে (Supreme Court)। তারপর বারে বারে বলা সত্ত্বেও প্রেসক্রিপশনে ওষুধের ‘জেনেরিক নেম’ (generic name of medicine) লেখাতে অধিকাংশ চিকিৎসককে (Doctors) বাধ্য করা যায়নি। তাঁরা বড় বড় কোম্পানির বেশি দামের ওষুধ (ব্র্যান্ড নেম) প্রেসক্রিপশনে লিখছেন।
প্রেসক্রিপশনে ওষুধের জেনেরিক ও ব্র্যান্ড নেম লেখা নিয়ে বিতর্ক বহু পুরনো। জেনেরিক নেম লেখা হলে রোগী ও পরিজনেরা তাদের আর্থিক সামর্থ মতো ওষুধ কিনতে পারেন। কিন্তু ব্র্যান্ড নেম লেখার অর্থ রোগীকে বিশেষ কোম্পানির ওষুধ কিনতে বাধ্য করা। তারফলে অনেক রোগীই ওষুধের বিপুল খরচ সামাল না দিতে পেরে চিকিৎসা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন। অভিযোগ, নানা সুবিধার বিনিময়ে চিকিৎসকদের একাংশ ওষুধের ব্র্যান্ড নেম লিখে থাকেন।
সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হওয়া মামলায় আইনজীবী কিষানচাঁদ জৈন অভিযোগ করেন, বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ব্যান্ড নেম ও জেনেরিক নেমের মধ্যে ওষুধের দামে ৫০ থেকে ৯০ শতাংশ ফারাক হয়। চিকিৎসকেরা জেনেরিক নেম লিখলে রোগীদের বড় অংশের সুবিধা হয়।
প্রসঙ্গত, দ্য ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল কাউন্সিল (প্রফেশন্যাল কনডাক্ট, এটিকেট অ্যান্ড এথিক্স) রেগুলেশনস, ২০০২ অনুযায়ী চিকিৎসকেরা ওষুধের জেনেরিক নেম লিখতে বাধ্য। সতর্ক করার পরও তারা ব্র্যান্ড নেম লিখলে সরকার সর্বোচ্চ সাজা হিসাবে রেজিস্ট্রেশন সাময়িক সময়ের জন্য বাতিল করে রোগী দেখা বন্ধ করে দিতে পারে।
কিন্তু চিকিৎসা মহলের বক্তব্য, দেশে এই ব্যাপারে নজরদারির কোনও ব্যবস্থা নেই। কোনও সরকারই এই ব্যাপারে কড়াকড়ির পথে হাঁটেনি। ওষুধ উৎপাদনকারী বড় কোম্পানিগুলির চাপ তো আছেই, সরকারেরও স্বার্থ আছে। বড় কোম্পানির দামি ওষুধ বিক্রি হলে জিএসটি বাবদ সরকারের বেশি অর্থ আদায় হয়।
আরও পড়ুন: যৌন সম্পর্কে সম্মতির ন্যূনতম বয়স কত হওয়া উচিত? কেন্দ্রের পরামর্শ চাইল শীর্ষ আদালত