শেষ আপডেট: 21st July 2023 07:22
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাহুল গান্ধীর মামলার শুনানি ফের হবে ৪ অগাস্ট। রাহুলের আবেদনের বিষয়ে শুক্রবার মূল মামলাকারী বিজেপি বিধায়ক তথা গুজরাতের প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেশ মোদীর (Purnesh Modi) হলফনামা তলব করেছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতি বিআর গাভাই এবং পিকে মিশ্র প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুলের সাজা মকুবের মামলা শোনেন।
শুক্রবার শুনানির শুরুতেই অবশ্য বিচারপতি গাভাই বলেন, আমি এই মামলা থেকে সরে যেতে চাই। তিনি বলেন, ‘আমার বাবা কংগ্রেসের সমর্থক।’ রাহুলের আইনজীবী কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিকে দেখিয়ে বিচারপতি বলেন, ‘বাবা যদিও কংগ্রেসের সদস্য বা নেতা নন। কিন্তু আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা অভিষেকের সঙ্গে বাবার চল্লিশ বছরের সম্পর্ক রাজনৈতিক কারণেই।’
অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি জবাবে বলেন, ‘এরজন্য মামলা থেকে সরে দাঁড়াবেন কেন? আপনি আইনের আধারে বিচার করবেন। আমার ধারণা, আপনার বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে কারও অভিযোগ নেই।’ রাহুলের বিরুদ্ধে মামলাকারী বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদীর আইনজীবীও বলেন, ‘আমাদেরও আপনাকে নিয়ে আপত্তি নেই। বিচারপতি তখন বলেন, ‘দু-পক্ষই যখন চাইছেন তখন আমি মামলা শুনব।’
মোদী পদবিধারীদের সম্পর্কে রাহুলের বিরুদ্ধে আপত্তিজনক মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল ২০১৯-এ কর্নাটকের একটি জনসভার ভাষণের বক্তব্য নিয়ে। রাহুল সুপ্রিম কোর্টে মামলা করার পর পরই পূর্ণেশ মোদী ক্যাভিয়েট করেছিলেন শীর্ষ আদালতে, যাতে তাঁর কথা না শুনে কোনও রায় দেওয়া হয়। শুক্রবার শীর্ষ আদালত তাঁকে রাহুলের সাজা মকুবের আর্জি সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য জানিয়ে হলফনামা জমা করতে বলেছে।
মোদী পদবিধারীদের মানহানির মামলায় গুজরাতের সুরাতের নিম্ন আদালত রাহুলকে দু’ বছর কারাবাসের সাজা দেয় গত ২৩ মার্চ। সেই রায় বহাল রেখেছে গুজরাত হাই কোর্ট। তার আগে রাহুলের আর্জি খারিজ করে দেয় সুরাতের জেলা উচ্চ আদালতও। এবার সুপ্রিম কোর্টও রাহুলের সাজা বহাল রাখলে তিনি আগামী আট বছর অর্থাৎ ২০৩১ সাল পর্যন্ত কোনও নির্বাচনে লড়াই করতে পারবেন না। চলতি আইন হল দু’ বছর কারাবাসের পর আরও ছয় বছর ভোটে অংশ নেওয়া যায় না।
আপাতত রাহুলের আবেদনের মূল কথা হল, তাঁর সাজার মেয়াদ কমানো হোক। যে অপরাধে তাঁকে সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হয়েছে তা ততটা গুরুতর নয়। রাহুলের আইনজীবীদের মতে, সাজার মেয়াদ একদিন কমে গেলেই রাহুল ফের সংসদে ফিরতে পারবেন। ভোটেও প্রার্থী হতে পারবেন। তাঁকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য দায়ের হওয়া পৃথক মামলার শুনানি এখনও শুরু হয়নি সুরাতের নিম্ন আদালতে।
সিঙ্ঘভি শুক্রবার আদালতে বলেন, সুরাতের নিম্ন আদালতের রায়ের ফলে তাঁর মক্কেল ১১১ দিন ধরে সমস্যার মধ্যে আছেন। তাঁর সাংসদ পদ চলে গিয়েছে। তাঁকে অবিলম্বে সংসদে ফেরার সুযোগ করে দিক আদালত।
মোদী পদবিধারীদের মানহানি: রাহুলের আর্জি শুক্রবার শুনবে সুপ্রিম কোর্ট