শেষ আপডেট: 7th December 2020 10:38
দ্য ওয়াল ব্যুরো : রাষ্ট্রপতির বাসভবন রাইসিনা হিলস থেকে ইন্ডিয়া গেট। রাজধানীর প্রায় তিন কিলোমিটার জায়গা জুড়ে নতুন সংসদ ভবন ও আরও কয়েকটি সরকারি অফিস নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার নাম সেন্ট্রাল ভিস্টা প্রজেক্ট। সেই প্রকল্প কার্যকরী হলে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে অভিযোগ করেছে কয়েকটি স্বেছাসেবী সংস্থা। প্রকল্প বন্ধ করার জন্য তারা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিল, আপাতত সেন্ট্রাল ভিস্টা প্রজেক্টে কোনও ভাঙচুর, গাছ কাটা বা নির্মাণ করা যাবে না। ওই প্রকল্পে 'তাড়াহুড়ো' করার জন্য সরকারকে তিরস্কার করে শীর্ষ আদালত। সেন্ট্রাল ভিস্টা প্রকল্পে খরচ হবে ২০ হাজার কোটি টাকা। ২০২২ সালের অগাস্টের মধ্যে নির্মাণের কাজ শেষ হবে। নতুন যে সংসদ ভবন নির্মিত হবে, তাতে বসতে পারবেন ৯০০ থেকে ১২০০ সাংসদ। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন করা হবে। আগামী বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নতুন সংসদ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার কথা আছে। সুপ্রিম কোর্ট এদিন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে বলে, মোদী নির্ধারিত দিনে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে পারেন। বিচারপতিদের কথায়, "আপনারা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে পারেন। অন্যান্য কাজও করতে পারেন। কিন্তু গাছ কাটা, কিছু ভাঙা বা গড়া চলবে না।" সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য এদিন সেন্ট্রাল ভিস্টা প্রকল্পে স্থগিতাদেশ দেয়নি। তবে বিচারপতিরা বলেছেন, "আমরা স্থগিতাদেশ দিচ্ছি না মানে এই নয় যে আপনারা নির্মাণ শুরু করতে পারবেন।" তুষার মেহতা বলেন, কেন্দ্রের নির্দেশের ভিত্তিতে সরকার তার বক্তব্য জানাতে চায়। সেজন্য সময় দিতে হবে। বিচারপতিরা বলেন, "আপনাদের পাঁচ মিনিট সময় দেওয়া হল। তার মধ্যে বক্তব্য জানান।" এর আগে জানা যায়, নতুন সংসদ ভবনটি হবে ত্রিকোণাকৃতি। বর্তমান সংসদ ভবনের কাছেই তা তৈরি হবে। সরকার জানিয়েছে, পার্লামেন্ট হাউস এস্টেটের প্লট নাম্বার ১১৮-তে নতুন ভবনটি গড়ে উঠবে। বর্তমান সংসদ ভবনটি ব্রিটিশ আমলে তৈরি হয়েছিল। তাঁর আকৃতি গোলাকার। ভারতের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ভবনগুলির মধ্যে পার্লামেন্ট ভবন অন্যতম। এই ভবনটি মেরামত করা হবে। তারপর তা ব্যবহৃত হবে অন্য কাজে। ১৯২১ সালে বর্তমান পার্লামেন্ট ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। তা সম্পূর্ণ হতে লাগে ছ'বছর। ১৯৫৬ সালে তাতে দু'টি তলা নির্মাণ করা হয়। চলতি বছরের শুরুতে সরকার জানায়, বর্তমান সংসদ ভবনটি অতি ব্যবহারে জীর্ণ হয়ে পড়েছে। তাছাড়া নির্বাচনী ক্ষেত্রগুলি ঢেলে সাজানোর পরে আরও বেশি সংখ্যক এমপি নির্বাচিত হবেন। বর্তমান সংসদ ভবনে বেশি সংখ্যক সাংসদের বসার ব্যবস্থা নেই।