শেষ আপডেট: 4th December 2024 13:27
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর প্রাক্তন জামাই কবীর শঙ্কর বোসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলা এবং শ্লীলতাহানির। চার বছর আগে দায়ের করা সেই মামলাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গেছিলেন কবীর। বুধবার শীর্ষ আদালত এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
চার বছর আগে হুগলির শ্রীরামপুরে দলের হয়ে প্রচার করছিলেন বিজেপি নেতা কবীর শঙ্কর বোস। তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হয়, ওই প্রচার থেকেই তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলা করা হয়েছে। পাশাপাশি মহিলাদের শ্লীলতাহানি করা হয় বলেও দাবি করা হয়। কবীরের বিরুদ্ধে সেই সময়ে দুটি মামলা করেছিলেন কল্যাণ। তদন্ত শুরু করেছিল রাজ্য পুলিশ। তবে সেই মামলাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কবীর।
বিজেপি নেতার দাবি ছিল, তাঁর বিরুদ্ধে ভুয়ো মামলা দায়ের করা হয়েছে। যিনি মামলা দায়ের করেছেন তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্যই এমন করেছেন। অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। পাশাপাশি কল্যাণকে নিশানা করে কবীরের এও দাবি ছিল, বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পরই তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়ের করা হচ্ছে। রাজ্য পুলিশও তৃণমূল নেতাদের অঙ্গুলিহেলনে কাজ করছে। এই প্রেক্ষিতে এই সব মামলার তদন্ত কোনও 'নিরপেক্ষ' এজেন্সিকে দেওয়া হোক বলেই দাবি তোলা হয়েছিল।
বুধবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতেই সুপ্রিম কোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত যা তদন্ত হয়েছে তার রিপোর্ট দ্রুত সম্ভব সিবিআই-কে হস্তান্তর করতে হবে। অর্থাৎ রাজ্যের আরও মামলার তদন্তভার পেল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
কবীর শঙ্কর বোস এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে সংঘাত বেশ পুরনো। পেশায় আইনজীবী কবীরের সঙ্গে কল্যাণের মেয়ের বিয়ে হলেও তা বেশিদিন টেকেনি। এছাড়া রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীও তাঁরা। গত লোকসভা নির্বাচনে প্রাক্তন শ্বশুরের বিরুদ্ধে লড়তেই দেখা গেছিল কবীরকে। যদিও শ্রীরামপুরে শেষ হাসি হাসেন তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ই। এখন তাঁর দায়ের করা মামলার ভিত্তিতেই কবীরের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ এল।