শেষ আপডেট: 27th July 2023 13:52
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) আগের নির্দেশ মানলে ইডি অর্থাৎ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের এর অধিকর্তার (extended tenure of ED chief) পর থেকে সঞ্জয় কুমার মিশ্র বিদায় কে নিতে হত আর চারদিনের মাথায়, ৩১ জুলাই। বৃহস্পতিবার তাঁর শীর্ষ পিদে থাকার মেয়াদ দেড় মাস বাড়িতে দিল শীর্ষ কোর্ট। ৩১ জুলাইয়ের পরিবর্তে তিনি ইডির অধিকর্তার পদে থাকতে পারবেন ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
গত ১১ জুলাই কেন্দ্রীয় সরকারকে (Centre) শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছিল মিশ্রকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সরিয়ে দিয়ে নতুন অফিসারকে নিয়োগ করতে হবে। এর আগে এই অফিসারকে দুবার এক্সটেনশন দেয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর।
সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, এরমধ্যে দ্বিতীয় এক্সটেনশনটি অবৈধ এবং আদালতের নির্দেশ অগ্রাহ্য করা হয়েছে। তাই ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে অধিকর্তাকে সরাতেই হবে। সুপ্রিম কোর্ট আগের দিনের শুনানিতেই বলেছিল, ১৪০ কোটি মানুষের দেশে কি ইডির অধিকর্তা করার মতো কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানিতে কেন্দ্র ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ওই অফিসারকে তদন্তকারী সংস্থার পদে রাখার আর্জি জানায়। বৃহস্পতিবারও ফের শীর্ষ আদালত প্রশ্ন তোলে কেন ১৪০ কোটির দেশে দ্বিতীয় কোনও যোগ্য অফিসার নেই?
সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা সুপ্রিম কোর্টের পেশ করা হলফনামায় বলেন, বিশেষ পরিস্থিতির কথা ভেবেই এই অফিসারকে সরকার রেখে দিতে চায় ইডির অধিকর্তা পদে।
কেন তাঁকে ছাড়া ইডির চলবে না, এর ব্যাখ্যা হিসেবে পুরনো যুক্তি তুলে ধরে কেন্দ্রীয় সরকার। সলিসিটার জেনারেলের পেশ করা হলফনামায় বলা হয় আন্তর্জাতিক সংস্থা ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স এখন বিভিন্ন দেশের বিআইনি অর্থ লেনদেন কারি ঘটনার তদন্তের নিয়োজিত এজেন্সিগুলির কাজকর্ম খতিয়ে দেখে রেটিংয়ের কাজ করছে। সরকার চায় এই কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ইডির অধিকর্তা পদে সঞ্জয় কুমার থাকুন। তাই সুপ্রিম কোর্ট যেন ১১ জুলাইয়ের আদেশটি প্রত্যাহার করে নেয়।
বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে শুনানিতে বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে কেন এই অফিসার অপরিহার্য।
বিরোধীদের অভিযোগ মিশ্রকে রেখে দেওয়া পুরোপুরি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। এর সঙ্গে ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্কফোর্সের কাজের কোন সম্পর্ক নেই। কারণ সেটি একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান। তারা ইডির কাছ থেকে যখন যে তথ্য চাইবে সেই তথ্য অধিকর্তা পাঠাবেন। অধিকর্তার পদে কে আছেন সেটা তাদের কাছে বিচার্য নয়।
বিরোধীদের আরও অভিযোগ আসলে মিশ্রকে দিয়ে নরেন্দ্র মোদি সরকার তাদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বাস্তবায়নের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্রের তরফে বারে বারে এই অফিসারের চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধির দাবি তোলেন সলিসিটর জেনারেল। শেষ পর্যন্ত ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধি মঞ্জুর করে সর্বোচ্চ আদালত।
আরও পড়ুন: পশ্চিমী হুঁশিয়ারিতে ভীত নন বঙ্গবন্ধু কন্যা, কলকাতায় বললেন হাসিনার মন্ত্রী