শেষ আপডেট: 24th September 2024 14:16
দ্য ওয়াল ব্যুরো: উচ্চ প্রাথমিক নিয়ে গত ২৮ অগস্ট কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, এক মাসের মধ্যে ১৪ হাজারের বেশি শূন্যপদে নিয়োগের মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে। এই ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টেও মামলা চলছিল। কিন্তু শীর্ষ আদালত এই নিয়োগের বিষয়ে কোনও হস্তক্ষেপ করেনি। এতএব, নিয়োগ নিয়ে জটিলতা আর রইল না।
রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশন ২০১৬ সালের উচ্চ প্রাথমিকের মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে বলে ইতিমধ্যেই জানিয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও জানিয়েছিলেন, দুর্গা পুজোর আগেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু শুধু মেধাতালিকা প্রকাশ করলেই হবে না, দ্রুত নিয়োগ করতে হবে, এই দাবি তুলে চাকরিপ্রার্থীরা সোমবারই বিক্ষোভ করে। এরই মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট নিয়োগে হস্তক্ষেপ করবে না বলে জানিয়েছে। তাহলে কি বুধবারই কোনও বড় সুখবর পেতে চলেছেন চাকরিপ্রার্থীরা, বাড়ছে কৌতূহল।
২০১৪ সালের আপার প্রাইমারি শূন্যপদ নিয়োগ নিয়ে গত ২৮ অগস্ট রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। ৮ বছর পর উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগের জট কেটেছে সেই রায়ে। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বলেছিল, ৪ সপ্তাহের মধ্যে ১৪ হাজার ৫২ জনের মেধা তালিকা প্রকাশ করতে হবে। পরের ৪ সপ্তাহের মধ্যে কাউন্সিলিং প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
এর মধ্যে কিছু চাকরিপ্রার্থী সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে দাবি করেছিলেন, তাঁদের পর্যাপ্ত নম্বর থাকা সত্ত্বেও ইন্টারভিউতে ডাকা হয়নি। তবে শীর্ষ আদালত তাঁদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলা উঠলে রাজ্য সরকারের আইনজীবী কল্যাণ বন্দোপাধ্যায় বলেন, “অধিকাংশ নিয়োগ প্রক্রিয়াই বন্ধ থেকেছে হাইকোর্টের নির্দেশে। সেখানে প্রায় এক যুগ পর উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ করার নির্দেশ এসেছে।”
এদিকে, কবে নিয়োগ করা হবে এই দাবিতে সোমবার দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল করেন চাকরিপ্রার্থীরা। তবে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ থেকে মিছিল শুরু হয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের অফিসের দিকে যেতেই বাধে গন্ডগোল। পুলিশের অনুমতি না থাকায় আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের পুলিশ যেতে বাধা দিলেই রীতিমতো ধস্তাধস্তি বেঁধে যায়। এরপর রাস্তায় বসেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে আপার প্রাইমারির চাকরিপ্রার্থীরা।