দ্য ওয়াল ব্যুরো: মোহনবাগান দিবসকে স্মরণীয় করে রাখলেন ভারতীয় ফুটবলের গৌরব সুনীল ছেত্রী (sunil chhetri presents at mohunbagan day celebration)। শনিবার বিকেলে শ্বশুর মশাই সুব্রত ভট্টাচার্যের আত্মজীবনী ‘ষোলোআনা বাবলু’ অনুষ্ঠানে হাজির থেকে জামাই সুনীল পরিষ্কার বাংলাতেই বলে দিয়েছেন, 'সুব্রত ভট্টাচার্যের কাছে আমি ফুটবলার হিসেবে ঋণী। কারণ উনি কোচ হিসেবে আমাকে মোহনবাগান দলে প্রথম সুযোগ দিয়েছিলেন। জুনিয়র ফুটবলার হিসেবে সেই সুযোগ না পেলে আমি এই জায়গায় আসতে পারতাম না। ওঁর ম্যাচ রিডিং ক্ষমতা বাকিদের থেকে অনেক আলাদা। তাই আমি কোচ হিসেবে ওঁকে এগিয়ে রাখতে চাই। আমি তো বলব শ্বশুর হিসেবেও ওঁকে আমি এগিয়ে রাখব।’

ভারতীয় ফুটবল অধিনায়ক যে এত ভাল বাংলা বলতে পারেন, সেটি অনেকেই জানতেন না (sunil chhetri presents at mohunbagan day celebration)। সুনীলই এই অনুষ্ঠানের চমক ছিলেন। তিনি ঝটিতি কলকাতায় এসে এই বইয়ের উদ্বোধন করে গেলেন।

মঞ্চেই সুব্রত জামাই সুনীল নিয়ে জানিয়েছেন, সুনীলকে তিনি এই জায়গায় আনতে সহায়তা করেননি। সুনীল নিজ চেষ্টাতেই এতটা এগিয়েছে, কিংবদন্তি হয়েছে। সুনীলের শৃঙ্খলাময় জীবনই যে তাঁকে ভারতের সেরা ফুটবলার করেছে, সেটিও তিনি বলে দিয়েছেন।

পাশাপাশি এই অনুষ্ঠানে ছিলেন সুব্রতর সমসাময়িক ফুটবলার। তালিকায় ছিলেন এবারের মোহনবাগান রত্ন গৌতম সরকার, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, প্রসূন বন্দোপাধ্যায়, মানস ভট্টাচার্য, বিদেশ বসু, কম্পটন দত্ত, সমরেশ চৌধুরী, গোলকিপার তরুণ বসু, প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং উত্তম মুখোপাধ্যায়রা।

এদিনের এই অনুষ্ঠানে উল্লেখ্যযোগ্য ছিলেন সভাপতি টুটু বসু। তিনি হুইল চেয়ারে করে এসেছিলেন।

মন্ত্রী সুজিত বসু ঘোষণা করেন, বিধান নগরের একটি নামী ফুটবল মাঠের নামকরণ সুব্রত ভট্টাচার্যের নামে হবে। মোহনবাগান দিবসের এই মঞ্চে ইস্টবেঙ্গলের দুই কর্তা এসে সুব্রত ভট্টাচার্যকে সম্মান দিয়েছেন। পাশাপাশি ক্লাব সচিব দেবাশিস দত্তকে লাল হলুদ উত্তরীয় পরিয়ে সম্মান জানিয়েছেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেছেন তারকা সাংবাদিক গৌতম ভট্টাচার্য ও নামী প্রাক্তন ফরোয়ার্ড মানস ভট্টাচার্য।

এশিয়ান গেমসে ভারতীয় দলে নেই সুনীলরা! তিন তারকার খেলা নিয়ে ঘোর অনিশ্চয়তা