শেষ আপডেট: 24th August 2024 13:59
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আর জি কর কাণ্ডে ফের তৃণমূল কংগ্রেসের 'বিদ্রোহী' সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের তির্যক বাণ। প্রবাদপ্রতিম ব্যঙ্গচিত্রী আর কে লক্ষ্মণের ১৯৬২ সালের একটি কার্টুনের ছবি দিয়ে নিজের ক্ষোভপ্রকাশ করলেন রাজ্যসভা সদস্য সুখেন্দুশেখর।
উল্লেখ্য, আর জি করের ঘটনার পর প্রকারান্তরে শাসক-বিরোধী প্রতিবাদ ধ্বনিত হয় তাঁর মুখে। অভিযোগ, সে কারণেই কলকাতা পুলিশ তাঁকে ডেকে পাঠায় লালবাজারে। যদিও সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সেই পোস্ট তিনি তুলেও নেন এবং ওখানেই বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায়। কিন্তু, পুলিশের এই ভূমিকায় সম্ভবত ভিতরে ভিতরে গুমরাচ্ছিলেন তিনি। তাই শুক্রবার রাতে ফের একটি পোস্ট করে পুলিশের অতি সক্রিয়তা বোঝাতে আর কে লক্ষ্মণের ব্যঙ্গচিত্রের শরণাপন্ন হলেন বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা সুখেন্দুশেখর।
রাজ্যসভা সাংসদ তাঁর অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডলে লক্ষ্মণের যে ছবিটি তুলে ধরেছেন, সেটি হল, একটি যুবককে পুলিশ জনবহুল রাস্তার উপর দিয়ে কলার ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। সেই দৃশ্য সকলেই অবাক চোখে দেখছেন। ১৯৬২ সালের ২৬ ডিসেম্বর প্রকাশিত ওই কার্টুনে লক্ষ্মণ পাদটীকায় লিখেছিলেন, অবশ্যই তুমি কোনও গুজব ছড়াওনি। কিন্তু, তোমার অপরাধ হল, তুমি সত্যকথা ছড়িয়েছ। স্বভাবতই এই কার্টুনের মধ্য দিয়ে নিজের অভিমান, অপমানকে বোঝাতে চেয়েছেন সুখেন্দুশেখর রায়।
এই পোস্টে সুখেন্দুশেখর একটি উপহাসের হাসির ইমোজি দিয়ে তাঁর কটাক্ষকে আরও চওড়া করে দিয়েছেন। যদিও এই পোস্টে তিনি ব্যক্তিগত কোনও ব্যাখ্যা লেখেননি, কোনও মন্তব্যও করেননি। কিন্তু, এই পোস্টের মাধ্যমে সহজেই বোঝা যাচ্ছে পুলিশের ভূমিকায় তিনি কতখানি রুষ্ট ও অপমানিত বোধ করেছেন।
প্রসঙ্গত, সুখেন্দুশেখর এর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে আর জি কর কাণ্ডে কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে জেরার দাবি তুলেছিলেন। যা নিয়ে তৃণমূল এবং বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরে হইচই পড়ে গিয়েছিল। এরপরেই কলকাতা পুলিশ তাঁকে তলব করে দুবার নোটিস পাঠায়। তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযোগ তোলে যে, তিনি ভুল তথ্য দিয়ে গুজব ছড়াচ্ছেন। এই কারণে প্রবীণ তৃণমূল নেতাকে হাইকোর্টে গিয়ে পুলিশি গ্রেফতার না করার অনুমতি চেয়ে আবেদনও করতে হয়েছিল। বিনা কথায় কিংবদন্তি কার্টুনিস্ট লক্ষ্মণের ছবি দিয়ে করা পোস্টে সেই আক্রোশেরই বদলা নিলেন সুখেন্দুশেখর রায়।