সুকান্তর স্ত্রীর বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, বালুরঘাট ও জলপাইগুড়ি দুই জায়গার ভোটার তালিকাতেই তাঁর নাম নথিভুক্ত রয়েছে।
সুকান্ত মজুমদার
শেষ আপডেট: 22 May 2025 11:35
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumder) স্ত্রীর নাম জড়াল ভোটার কার্ড (Voter Card) বিতর্কে। এই নিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশনে (ECI) অভিযোগও জমা পড়ে। দাবি, জলপাইগুড়ির সঙ্গে বালুরঘাটেও নাম রয়েছে সুকান্তর স্ত্রী কোয়েল মজুমদারের। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই তদন্তের নির্দেশ দেয় জাতীয় নির্বাচন কমিশন। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলে অবশ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকেই (Mamata Banerjee Govt) নিশানা করেছেন বিজেপি সাংসদ।
সুকান্তর স্ত্রীর বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, বালুরঘাট ও জলপাইগুড়ি দুই জায়গার ভোটার তালিকাতেই তাঁর নাম নথিভুক্ত রয়েছে। ইতিমধ্যে এই ইস্যুতে জলপাইগুড়ি এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসককে তদন্ত করে দ্রুত রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা স্পষ্ট জানতে চায় জাতীয় নির্বাচন কমিশনও। যদিও এই বিষয় নিয়ে কোনও বিতর্ক দেখছেন না সুকান্ত মজুমদার। তবে যেটাই হয়েছে তার জন্য বাংলার সরকারকে দায়ী করেছেন তিনি।
বিজেপি নেতার কথায়, তাঁর স্ত্রীর বাপের বাড়ি জলপাইগুড়িতে। তাই সেখানে ওঁর নাম ছিল। পরবর্তী ক্ষেত্রে বালুরঘাটে নাম জুড়লে আগের তালিকা থেকে নাম কাটা হয়নি। আর এই ঘটনার জন্য দায়ী আদতে জেলা প্রশাসন তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। কারণ এই নাম কাটার দায়িত্ব তাদেরই ছিল। যদিও বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি না করে আগের তালিকা থেকে স্ত্রীর নাম বাতিল করার আবেদন জানিয়েছে সুকান্ত মজুমদার।
কমিশনের অভিযোগ করে বলা হয়েছিল, কোয়েল মজুমদার দু'জায়গায় দু'রকম ভোটার কার্ড ব্যবহার করে একাধিক ভোটদানের ক্ষমতা ভোগ করছেন। কমিশনও এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে কারণ তাঁরা দেখেছে, দু’জায়গায় ভোটার তালিকায় নাম পাওয়া গেলেও দুই এপিক কার্ডের নম্বর ভিন্ন! এক্ষেত্রে দুই কেন্দ্রে পৃথক দিনে ভোট হলে একই ব্যক্তির পক্ষে দু’জায়গাতে ভোট দেওয়া সম্ভব। আর এই জটিলতার জন্য ভোটার নিজেও কিছুটা দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে।
আসলে নির্বাচনী বিধি মেনে ফর্ম-৮ পূরণ না করে কোয়েল মজুমদার বালুরঘাটে ফর্ম-৬ পূরণ করে কার্ড করিয়েছিলেন। তাই তাঁর পুরনো কার্ডের অস্তিত্ব সম্পর্কে তথ্য অজানা থাকায় জলপাইগুড়ি এবং বালুরঘাট দু'জায়গাতেই ভোটার কার্ড রয়েছে। আর স্বাভাবিকভাবেই সেই কার্ডের এপিক নম্বর আলাদা। তাই আরও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।