শেষ আপডেট: 18th July 2024 18:19
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাংলার ভোটে ভরাডুবির কারণ খতিয়ে দেখতে বুধবার সায়েন্স সিটিতে বৈঠকে বসেছিল বঙ্গ বিজেপি। ওই বৈঠকের পরই বাংলায় দলের সাংগঠনিক দুর্বলতা নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছিলেন ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং।
বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে কড়া প্রতিক্রিয়া জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সুকান্ত বলেন, "কিছু বলার থাকলে দলের ভেতরে বলুন, মিডিয়ার কাছে কেন বার বার বলছেন।"
সুকান্ত এও বলেন, "যদি কেউ মনে করেন রাজ্য নেতৃত্বকে বলতে পারছেন না, তাহলে সরাসরি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানান। সর্বভারতীয় সভাপতিও তো সকলের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু এভাবে সংগঠনের অন্দরের কথা প্রকাশ্যে বলা ঠিক নয়।" সূত্রের খবর, এরপরও যাঁরা প্রকাশ্যে সংগঠনকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করবেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
বুধবারের বৈঠক শেষে অর্জুন সিং বলেছিলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে ভোট হয় না, মাঠে নেমে ভোট করাতে হয়। বাংলায় বিজেপির সাংগঠনিক দুর্বলতা আছে বলেই প্রতিটি ভোটে এরকম ফল হচ্ছে।"
এখানেই না থেমে অর্জুন আরও বলেন, "সাংগঠনিক দুর্বলতা ঠিক করতে শুধু ঘরে বসে আলোচনা করলে হবে না, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।" অর্জুন কারও নামোল্লেখ করেননি। তবে বঙ্গ নেতত্বকে নিশানা করেই যে তাঁর এই মন্তব্য তা বুঝতে বাকি ছিল না কারও। বুধের সন্ধে থেকেই এনিয়ে শোরগোল তৈরি হয়েছিল।
বিজেপির অন্দরের রাজনীতিতে অর্জুন শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত। বুধবারের বৈঠকে পরাজয়ের প্রসঙ্গে কার্যত দায় ঝেড়ে শুভেন্দুও বলেছিলেন, "আমি বিরোধী দলনেতা, সংগঠনের দায়িত্বে নেই।"
যার জবাবে সুকান্তর এদিনের প্রতিক্রিয়া যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। সুকান্ত এও মনে করিয়ে দিয়েছেন, যাঁরা বাংলার সাংগঠনিক দুর্বলতার কথা প্রকাশ্যে বলে বেড়াচ্ছেন, তাঁরাও কিন্তু এর দায় এড়াতে পারেন না। বিজেপির রাজ্য সভাপতির কথায়, "যদি কোনও এলাকায় সংগঠন দুর্বল হয়ে যায়, তাহলে তার দায় শুধু নীচু তলার নয়, উপরতলায় আমরা যারা রয়েছি তাঁদেরও। যারা সাংগঠনিক দুর্বলতা নিয়ে বলছেন, তাঁরা যেন একথাটাও মনে রাখেন।"
বুধবার সায়েন্স সিটির বৈঠকে সুকান্ত বলেছিলেন, "বিজেপি হেরেছে মানে এই নয় বিজেপি হারিয়ে গেছে।" কর্মীদের মনোবল বাড়াতে সদ্য সমাপ্ত লোকসভা এবং বিধানসভার উপ নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে এও দাবি করেছিলেন, শতাংশের হিসেবে বিজেপির ফলাফল আগের চেয়ে ভাল হয়েছে। এরপরই প্রকাশ্যে দলের সাংঠনিক দুর্বলতা নিয়ে পরোক্ষে নেতৃত্বকে তোপ দাগেন অর্জুন।