সুকান্ত মজুমদার।
শেষ আপডেট: 25th October 2024 22:56
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বালুরঘাটের এসডিপিওকে পুলিশের চাকরি ছেড়ে তৃণমূলের ঝান্ডা ধরার পরামর্শ দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আইনশৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগে নিজের সংসদীয় এলাকা বালুরঘাটের বুনিয়াদপুরে এদিন সভা করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী।
ওই মঞ্চ থেকেই এসডিপিও-র কার্যালয় থেকে জাতীয় পতাকা খুলে তৃণমূলের পতাকা লাগানোর ‘পরামর্শ' দিয়ে সুকান্ত বলেন, "পুলিশের উর্দি খুলে তৃণমূলের ঝান্ডা ধরে রাস্তায় আসুন, বুঝিয়ে দেব কত ধানে কত চাল!"
বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ এও বলেন, "মনে রাখবেন সুকান্ত মজুমদার যদি গুন্ডামি করতে শুরু করে তাহলে পিএইচডি করা গুন্ডার গুন্ডামি সামলানোর ক্ষমতা আপনাদের নেই ৷’’
পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার নজির অতীতেও আছে সুকান্তর। গত পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে মাথাভাঙার একটি সভা থেকে পুলিশেকে নিশানা করে সুকান্ত বলেছিলেন, ‘‘পাশে বসে খেলা দেখুন। খেলার মাঝখানে আসবেন না। তা হলে পদপিষ্ট হবেন।’’
কিন্তু এখন তো কোনও ভোট নেই! তাহলে কেন এমন হুঁশিয়ারি? সুকান্ত ঘনিষ্ঠদের দাবি, "বাংলায় আইনের শাসন নেই। পুলিশ গুন্ডাদের আশ্রয় দেয়। শিক্ষিত মানুষ এর বিরুদ্ধে গর্জে উঠলে তা সামলানোর ক্ষমতা পুলিশের নেই, উনি সেটাই বোঝাতে চেয়েছেন।"
স্বভাবতই, বিজেপির শীর্ষ নেতার এহেন মন্তব্য ঘিরে স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে তো বটেই রাজ্য রাজনীতিতেও শোরগোল তৈরি হয়েছে। এ ব্যাপারে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, "ইডি, সিবিআই, আয়কর এদেরকে কাজে লাগিয়ে মানুষকে চমকানো, মিথ্যে কেসে ফাঁসানো এটাই তো বিজেপির কালচার। বিজেপির নেতারা যে গুন্ডামি করেন, সেটাই স্পষ্ট ওদের রাজ্য সভাপতির কথায়।"
হঠাৎ এসডিপিওকে কেন এমন হুমকি দিলেন সুকান্ত? পদ্ম শিবিরের দাবি, কারণ বুঝতে হলে ফিরতে হবে লোকসভা ভোটের ফ্ল্যাশব্যাকে।
এবারের লোকসভা ভোটে বালুরঘাটে সুকান্তর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন তৃণমূলের বিপ্লব মিত্র ৷ বিপ্লব মিত্রকে ভোটে জেতাতে এসডিপিও সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করে এদিনের সভা থেকে সুকান্ত মজুমদার বলেন, "২৬ এর বিধানসভা ভোটে বাংলার ক্ষমতায় আর ফিরতে পারবে না তৃণমূল। এটা বুঝতে পেরে বুনিয়াদপুরে মনোবল ভাঙতে বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদের মিথ্যে মামলায় গ্রেফতার করা হচ্ছে।"
অবিলম্বে এ জিনিস বন্ধ না করলে তিনি কী করবেন, জানাতে গিয়েই এরপর 'পিএইচডি করা গুন্ডার গুন্ডামি সামলানোর ক্ষমতা নেই' বলে পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।