শেষ আপডেট: 22nd January 2025 08:13
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ফের প্রকাশ্যে বিজেপির কোন্দলের ছবি। এবারর বিরোধী দলনেতা তথা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করে বিতর্কের জন্ম দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। দলের সাংগঠনিক বৈঠকে শুভেন্দুর অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন ধেয়ে আসতেই রাখঢাক না রেখে সুকান্ত বলেন, “উনি ব্যস্ততম নেতা।”
বিজেপির অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, কোন্দলের ঘটনা নতুন নয়। দিলীপ ঘোষের সঙ্গে সুকান্ত বা শুভেন্দুদের অম্লমধুর সম্পর্কের কথা রাজ্যবাসীর অজানা নয়। তাই সময় যত গড়িয়েছে দিলীপের কাজ হাতে নিয়েছেন সুকান্ত। পাশাপাশি বিরোধী দলনেতা হিসাবে শুভেন্দু অধিকারীর ভূমিকাও দলের হাইকম্যান্ডের নজরে রয়েছে। তবে সামনাসামনি যতই সুসম্পর্ক থাক, কেউ এক পা এদিক ফেললেই সর্বনাশ! নিজেদের মধ্যেই শুরু হয়ে যাচ্ছে কাদা ছোড়াছুড়ির নোংরা খেলা। পাশাপাশি আদি–নব্যের দ্বন্দ্ব তো আছেই।
মঙ্গলবার সল্টলেকে বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠক ছিল। সেই অনুষ্ঠানে সুকান্ত মজুমদার উপস্থিত হলেও আসেননি শুভেন্দু। তা নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সোমবারই স্যালাইন কাণ্ড নিয়ে স্বাস্থ্যভবন অভিযান হয়। সেখানে সুকান্ত মজুমদার এবং দিলীপ ঘোষ একমঞ্চে এলেও আসেননি বিরোধী দলনেতা। সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে এই কর্মসূচি থাকার কারণেই শুভেন্দু আসেননি বলে খবর।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সাংগঠনিক বৈঠকে কেন বিরোধী দলনেতা অনুপস্থিত? এই প্রশ্ন করা হয়। আর তাতেই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের খোঁচা, ‘এখন নয়, আগেও উনি আসতেন না। উনি ব্যস্ততম নেতা।’ বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে রাজ্য সভাপতির এমন মন্তব্যে রীতিমতো শরগেল পড়ে গেছে। বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল–সহ অন্য শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সল্টলেকে বৈঠকে বসেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। সেই বৈঠকে অনুপস্থিত হয়ে সুকান্তর কটাক্ষের মুখে শুভেন্দু পড়লেন বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।
শুভেন্দু–সুকান্তর মধ্যে বিভেদ নতুন নয়। তবে এতদিন সেটা দলের অভ্যন্তরে থাকলেও এবার তা সামনে চলে মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘সাংগঠনিক বৈঠকে তো বিরোধী দলনেতাকে সবসময় ডাকা হয় না। তাঁকে নিয়ে আমরা আলাদা করে বসি। এখন শুধু নয়, আগেও উনি আসতেন না।’ যদিও পরে শুভেন্দুর প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, ‘আমি বিরোধী দলনেতা। আমি আমার কাজ নিয়ে সচেতন।’
সুকান্তর সাফ জবাব, ‘সাংগঠনিক বৈঠকে উনি কমফোর্ট ফিল করেন না। আমাদের যে সাংগঠনিক প্রক্রিয়া সেটা অনেক দীর্ঘ। ওঁর অনেক প্রোগ্রাম থাকে। উনি তো পশ্চিমবঙ্গের ব্যস্ততম নেতা। স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে নানা জায়গায় ঘুরতে হয়। সময় পাবেন কোথায়!’
তবে বিষয়টি নিয়ে পরে আলোচনা শুরু হতেই সুকান্ত মজুমদার বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করলেও তাঁর মন্তব্য ভাইরাল হয়ে যায়। ‘ব্যস্ততম নেতা’ বলে শুভেন্দুকে খোঁচা দিতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।