ঘটনা হল, যে চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অক্সফোর্ড সফরে কেলগ কলেজের অনুষ্ঠানে আরজি করের ঘটনা প্রসঙ্গে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন।
সুকান্ত মজুমদার ও চিকিৎসক রজতশুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়।
শেষ আপডেট: 20 June 2025 15:35
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অবশেষে জামিন মুক্তি পেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) ও চিকিৎসক রজতশুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Doctor Rajatshuvra Banerjee)। জামিনে মুক্তির পর দুজনেই কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
পুলিশের ভূমিকায় চরম ক্ষুব্ধ বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “একজন চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার জন্য যেভাবে আমাকে এবং ওই চিকিৎসককে পুলিশ টেনে হিঁচড়ে গাড়ি তুলে থানায় নিয়ে গেল, গ্রেফতার করল তা তো হিটলারের শাসনকেও হার মানাবে। এর বিরুদ্ধে আমি আদালতে যাব। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও চিঠি করব। স্পিকারকে চিঠি লিখব প্রিভিলেজ মোশন আনার জন্য।"
সুকান্তর আরও অভিযোগ, এ ব্যাপারে তিনি পুলিশকে আগে থেকেই জানিয়েছিলেন, তাসত্ত্বেও খোদ পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। একই অভিযোগ করেছেন চিকিৎসক রজতশুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "কেলগ কলেজে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেছিলাম উনি উত্তর দিতে পারেননি। তাই এখানে আসতেই পুলিশ জোর করে থানায় তুলে নিয়ে গেল। এটা প্রতিহিংসা।"
ক্ষুব্ধ চিকিৎসক এও বলেন, "আমার দাদু কানাইলাল চট্টোপাধ্যায় স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন। উনি ফাঁসিকে ভয় পাননি। সেই রক্ত আমার শরীরেও বইছে। পুলিশ এভাবে ভয় দেখিয়ে থামাতে পারবে না। আমি এতজন ব্রিটিশ নাগরিক। আমার সঙ্গে পুলিশ যেটা করল, তা আইন বিরুদ্ধ কাজ। আদালতে ওদের জবাবদিহি করতে হবে।"
তবে এ ব্যাপারে পুলিশের কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। প্রতিক্রিয়া এলে প্রতিবেদনে আপডেট করা হবে।
ঘটনা হল, যে চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অক্সফোর্ড সফরে কেলগ কলেজের অনুষ্ঠানে আরজি করের ঘটনা প্রসঙ্গে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। বিজেপির অভিযোগ, সেই দিন থেকেই চিকিৎসক রজতশুভ্রকে নজরে নজরে রাখা হয় প্রশাসনের তরফ থেকে।
শুক্রবার বিজেপি রাজ্যসভাপতি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেলে প্রথমে পুলিশ জানায় যে তিনি বাড়িতে নেই। এদিকে চিকিৎসকের বক্তব্য, তিনি বাড়িতে সুকান্তের অপেক্ষা করছিলেন। এরপরই ঝামেলা শুরু হয়। পুলিশ কেন মিথ্যে কথা বলল, সেই নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। ততক্ষণে রজতশুভ্রবাবু বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে কথা বলেন।
এরপর দু'জনে সবে হেঁটে একটু এগোতেই ভবানীপুর থানার পুলিশ বাধা দেয়। পরিস্থিতি জটিল হতে শুরু করলেই পুলিশ সুকান্ত এবং ওই চিকিৎসককে প্রথমে আটক ও পরে গ্রেফতার করা হয়।