শেষ আপডেট: 5th December 2024 18:38
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তাঁকে জেরা করতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু অসুস্থতার কারণে বৃহস্পতিবারও আদালতে হাজির হলেন না নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত 'কালীঘাটের কাকু' ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র।
ফলে এই নিয়ে পর পর চারবার সুজয়কৃষ্ণকে এজলাসে জেরা করতে এসেও খালি হাতে ফিরতে হল সিবিআইকে। আদালত সূত্রের খবর, প্রেসিডেন্সি জেল থেকে আদালতে যে মেডিক্যাল রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে, তাতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে সুজয়কৃষ্ণ গুরুতর অসুস্থ। জেল হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
কেন বারে বারে সিবিআইকে এড়িয়ে যাচ্ছেন কালীঘাটের কাকু? আইনজ্ঞদের একাংশের মতে, ইডির পর পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই যেভাবে গ্রেফতার করেছে, একইভাবে সুজয়কৃষ্ণকেও গ্রেফতার করা হতে পারে। এই আশঙ্কা থেকেই সম্ভবত সিবিআইকে এড়িয়ে যাচ্ছেন সুজয়কৃষ্ণ।
বস্তুচ, ইতিমধ্যে আগাম জামিন চেয়ে আদালতে আবেদনও করেছেন সুজয়কৃষ্ণর আইনজীবী সেলিম রহমান। ওই মামলার শুনানি না হওয়া পর্যন্ত সিবিআইয়ের আবেদন স্থগিত রাখার দাবিও এদিন তিনি জানান। তবে এ ব্যাপারে আদালত এদিন কোনও সিদ্ধান্ত জানায়নি।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত বছরের ৩০ মে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে গ্রেফতার করে ইডি। এরপর থেকে বারেবারে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি। দীর্ঘদিন ভর্তি ছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে। নিয়োগ দুর্নীতির জট খুলতে তাঁর ফোন থেকে উদ্ধার হওয়া একাধিক ভয়েজ ক্লিপিং এর সঙ্গে সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করতে চান তদন্তকারীরা। সেজন্য আদালতে আবেদন জানান তাঁরা। পরবর্তীতে হাইকোর্ট থেকে অনুমতি মিললেও এসএসকেএমের তরফে জানানো হয়, কালীঘাটের কাকুর শারীরিক অবস্থা ঠিক না হওয়া পর্যন্ত এই ধরনের পরীক্ষা করা যাবে না।
দীর্ঘ টানাপড়েনের পর অবশেষে গত ৪ জানুয়ারি জোকা ইএসআই হাসপাতালে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের ‘ভয়েস স্যাম্পেল টেস্ট’ হয়। তাঁর গলার স্বর ডিজিটালি রেকর্ড করে রেখে দেখা হয় ফোনে কথোপকথনের যে অডিও সামনে এসেছে সেই গলা আর কাকুর গলা এক কিনা।
এরপরই গত ২৪ এপ্রিল নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে সুজয়কৃষ্ণকে জেলে গিয়ে জেরা করতে চায় সিবিআই। এই মর্মে কলকাতার বিচার ভবনে বিশেষ আদালতে আবেদনও জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আদালতের অনুমতির পরও সিবিআই তাঁকে কেন এতদিন জেরা করেনি সম্প্রতি আদালতে সেই প্রশ্নও তুলেছেন সুজয়কৃষ্ণ ওরফে কালীঘাটের কাকু।