শেষ আপডেট: 19th October 2024 12:33
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কৃষ্ণনগরে মণ্ডপের সামনে তরুণীর মৃত্যুর কারণ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। মৃতার পরিবারের সঙ্গে এদিন দেখা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রতিশ্রুতি দিলেন আইনি সাহায্যেরও।
লক্ষ্মীপুজোর দিন, বুধবার সকালে নদিয়া জেলা স্টেডিয়ামের পাঁচিলের ধারে দুর্গাপুজোর ফাঁকা মণ্ডপে দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর আধপোড়া দেহ উদ্ধার হয়েছিল। পরিবারের অভিযোগ ছিল, খুন করা হয়েছে মেয়েকে। সেই কথার রেশ টেনেই শুভেন্দু বলেন, 'খুনই করা হয়েছে তরুণীকে। ধামাচাপা দিতে চাইছে পুলিশ।' বিরোধী দলনেতার দাবি, ধামাচাপা দিতেই আত্মহত্যার তত্ত্ব খাঁড়া করা হচ্ছে।
তাঁর কথায়, 'আমি এবং এখানকার সাধারণ মানুষ ও পরিবার এক যোগে বলতে চাই নির্যাতন করে খুন করা হয়েছে। পরিবার কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে তদন্ত দাবি করেছে। আমরা সিনিয়র আইনজীবী প্রোভাইড করব। পরিবার কথা বললে তাঁরা যে আইনি সাহায্য চাইবে আমরা তাঁদের পাশে থাকব।'
প্রসঙ্গত, কৃষ্ণনগরের রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমপাড়া এলাকা থেকে ওই তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়। যেখান থেকে এই দেহ উদ্ধার হয়েছে তার কিছু দূরেই পুলিশ সুপারের অফিস! তাই স্বাভাবিকভাবে আরও বেশি আতঙ্ক সৃষ্টি হয় এলাকাবাসীর মধ্যে।
স্থানীয় সূত্রে খবর ছিল, রাস্তার ধারে পড়ে ছিল তরুণীর অর্ধনগ্ন এবং অর্ধদগ্ধ দেহ। এলাকাবাসী মনে করছে, ধর্ষণ করার পর খুন করা হয়েছে তাঁকে। আর প্রমাণ লোপাটের জন্য পুড়িয়ে দেওয়া হয় মুখ এবং শরীরের একাংশ।
সাংবাদিক বৈঠকে এডিজি জানিয়েছিলেন, ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যে কৃষ্ণনগরের পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে একটি স্পেশ্যাল ইনভেসটিগেশন টিম (সিট) গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি সিআইডিও ঘটনার তদন্ত করছে। ইতিমধ্যেই একের পর এক খবর উঠে আসছে গোটা ঘটনা নিয়ে।