শেষ আপডেট: 23rd January 2024 14:55
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব মেদিনীপুর: কাঁথি পুরসভার ১৬ জন কাউন্সিলরের সমর্থনে চেয়ারম্যান সুবল মান্নাকে অপসারণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। এরপর দলীয় নির্দেশ আসলে পৌর আইন মোতাবেক সরিয়ে দেওয়া হবে সুবল মান্নাকে। প্রকাশ্য মঞ্চে শিশির অধিকারীকে প্রণাম করে ও গুরু বলে সম্বোধন করেছিলেন সুবল মান্না। তারপরেই খবরের শিরোনামে আসে তাঁর নাম।
কাউন্সিলরদের দাবি, সুবল মান্না বেআইনিভাবে কাজ করছেন পুরসভাতে। কাউন্সিলরদের সঙ্গে ভালো আচরণ করছেন না। তারই প্রতিবাদে অনাস্থা আনা হয়েছিল। ২রা জানুয়ারি তৃণমূলের প্রতীকে জেতা ১৬ জন কাউন্সিলর কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান সুবল মান্নার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে। অনাস্থা প্রস্তাব পাওয়ার পর পুর আইন অনুযায়ী কাউন্সিলরদের বৈঠক ডাকেননি সুবল মান্না। ১৫ দিন কেটে যাওয়ার পরে, পুর আইন মেনে অনাস্থা বৈঠক ডাকেন কাঁথি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্রকাশ গিরি।
এরপরেই দলীয় নির্দেশ উপেক্ষা করে, কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সুবলবাবু। হাইকোর্টে তিনি আইনজীবী মারফত জানান- বেআইনিভাবে তাকে কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করা হচ্ছে। তাই ভাইস চেয়ারম্যানের ডাকা অনাস্থা বৈঠকে স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক। মঙ্গলবারই হাইকোর্টে সেই মামলার শুনানি। এদিকে হাইকোর্টের নির্দেশ এসে না পৌঁছনোয় কাঁথি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্রকাশ গিরির আহবানে সকাল সাড়ে ১১টায় ১৬ জন কাউন্সিলর অনাস্থা বৈঠকে উপস্থিত থেকে সর্বসম্মতিক্রমে কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যানের পদ থেকে সুবল মান্নাকে অপসারণ করে।
কাঁথি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্রকাশ গিরি বলেন, “আজ কাউন্সিলরদের একটি বিশেষ বৈঠক পরিচালনা করি। সেখানে সর্বসম্মতিভাবে সমস্ত কাউন্সিলর সহমত পোষণ করেছেন। তাই কাঁথি পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যানকে অপসারণ করেছি।” যদিও চেয়ারম্যান সুবল মান্না জানান, তাকে এখনও কিছু জানানো হয়নি। তিনি বলেন, “আমার গুরুকে প্রণাম করতে গিয়ে ঘৃণ্য রাজনীতির শিকার হলাম। যাঁরা চোর তারাই আমাকে বদনাম করছে। আমি একটা টাকা নিয়েছি বলে কেউ প্রমাণ করতে পারবে না। কাউন্সিলর হিসেবে থেকে যাব। বুধবার হাইকোর্টে শুনানি আছে। আদালতের রায় মাথা পেতে নেব।” এদিন সুবল মান্নাকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর চেয়ারম্যান সুবল মান্নার কক্ষে তালা লাগিয়ে দেন তৃণমূলের ষোলজন কাউন্সিলর।