শেষ আপডেট: 9th August 2024 18:51
দ্য ওয়া ব্যুরো: তদন্তকারীদের ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিল আরজিকরের ডাক্তারি পড়ুয়া ও অন্য়ান্য চিকিৎসক সংগঠন। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দোষীরা গ্রেফতার না হলে আন্দোলনে স্তব্ধ করে দেওয়া হবে হাসপাতাল চত্বর।
জরুরি বিভাগের চারতলায় সেমিনার হল থেকে শুক্রবার সকালে মেলে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ছাত্রীর দেহ। খবর জানাজানি হতেই তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে। পরে জানা যায় ওই ছাত্রীর দেহে আঘাতের চিহ্ন ছিল। পোশাক ছিল অবিন্যস্ত। স্নাতকোত্তর স্তরে দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া ওই ছাত্রী বৃহস্পতিবারও রাত ২টো পর্যন্ত হাসপাতালের ওয়ার্ডে ডিউটি করেন। পরে কর্মরত আরও দুই জুনিয়র ডাক্তারের সঙ্গে রাতের খাওয়া সেরে পড়াশোনার জন্য সেমিনার হলে চলে যান।
শুক্রবার সকাল থেকে আর খোঁজ মিলছিল না তাঁর।
পোস্ট গ্র্যাজুয়েটের ওই ছাত্রীর সহপাঠীরা প্রশ্ন তোলেন, জরুরি বিভাগের চারতলায় যে সেমিনার হল থেকে তার দেহ পাওয়া গেছে সেখানে কোনও সিসি ক্যামেরা নেই। তাহলে কি সব কিছু জেনে বুঝেই ওই ঘরে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ওই তরুণীকে। তারপর ক্যামেরা না থাকার সুযোগে অন ডিউটি অবস্থায় খুন করা হয়েছে তাঁকে।
পানিহাটির তৃণমূল বিধায়কের বক্তব্যে ছাত্রদের দাবিতেই শিলমোহর পরে। হাসপাতাল চত্বরেই পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ দাবি করেন, নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে ওই ডাক্তারির ছাত্রীকে। এদিন হাসপাতালে আগাগোড়াই উপস্থিত ছিলেন তিনি। বিধায়ক বলেন, "দেহে প্রচুর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নৃশংসভাবে অন ডিউটি অবস্থায় খুন করা হয়েছে ওই তরুণীকে। প্রশাসনের সর্বস্তরের কর্তারা এই খুনের তদন্ত করছেন। দোষীকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।"
প্রশাসনিক স্তরে যখন তদন্ত চলছিল, তখনই নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বসেন আরজিকর মেডিক্য়াল কলেজের পড়ুয়ারা। বৈঠকে ছিলেন অন্য চিকিৎসক সংগঠনের প্রতিনিধিরাও। সেই বৈঠকেই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের খুঁজে বার করে শাস্তি দেওয়ার দাবি তোলেন ছাত্ররা। না হলে হাসপাতাল অচল করার হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।